দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর প্রেম ॥ কথিত প্রেমিকের কাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর প্রেম নিয়ে বিপাকে পড়েছে অভিভাবকরা। কলেজছাত্রীকে ভালোবাসার দাবি করে বিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রেমিক। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে দ্বন্দ্ব। প্রমিকের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে প্রেমিকার পরিবার।
জনা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি বাজারপাড়ার আসাদুলের কলেজ পড়–য়া মেয়ে তুশি (১৭) ও একই গ্রামের সাইদুর রহমানের কলেজপড়–য়া ছেলে সৌরভের (১৭) মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেম সম্পর্ক রয়েছে। সৌরভ আলমডাঙ্গা জোহা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও তুশি মুজিবনগর দারিয়াপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তুশি তার নানার বাড়ি মুজিবনগর আনন্দবাস গ্রামে থাকে লেখাপড়া করে।
একাধিকসূত্রে জানা যায়, মেয়ে ও ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার ঘুরতে দেখা গেছে। হঠাত তুশির বিয়ে ঠিক হয় আনন্দবাস গ্রামের ডিফেন্সে চাকরিরত এক ছেলের সাথে। বিয়ের কথা তুশি প্রেমিক সৌরভকে জানায়। তুশির কাছ থেকে ডিফেন্সের ওই ছেলের মোবাইল নম্বর নিয়ে তার ফোনে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি পাঠায় প্রেমিক সৌরভ। পরে ওই ছেলে বিয়েতে রাজী না হলে বিষয়টি জানা জানি হয়ে যায়। গত শনিবার থেকে কুড়ুলগাছিতে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার সকালে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তুশির পরিবার।
প্রেমিক সৌরভের পিতা সাইদুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে ওই মেয়েই নষ্ট করেছে। আমার ছেলের কোনো দোষ নেই।
এদিকে তুশির চাচা জহিদুল বলেন, আমার ভাতিজি সুন্দরী বলে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে সৌরভ। আমরা একাধিক বার নিষেধ করলেও সে কোনো কর্ণপাত করেনি। তার কারণে মেয়েকে নানা বাড়ি রেখে লেখাপড়া করানো হয়। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছি। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার কাছে পাঠিয়েছে আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।