দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুয়া ডাক্তার ও প্রশিক্ষণ বিহীন সেবীকার ছড়াছড়ি

 

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার সেবা, নিরাময়, একতা, প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুয়া ডাক্তার ও প্রশিক্ষণ বিহীন সেবীকার ছড়াছড়ি। একইসাথে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোও সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে নানা অনিয়ম কার্যক্রম চালাচ্ছে। নিরীহ রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে  হাজার হাজার  টাকা। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিগ্রি অর্জন না করেই নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে রোগীদের আকৃষ্ট করে ব্যবসা চালিয়ে হচ্ছে। অথচ বিএমঅ্যান্ডডিসির নিয়মানুযায়ী এ ধরনের ডিগ্রিধারীদের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিধানে থাকলেও কার্পাসডাঙ্গার কোথাও এ বিধান কার্যকরের নজির অদ্যাবধি পরিলক্ষিত হয়নি। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি কোনো হাসপাতাল না থাকায় রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পদ থাকলেও চিকিৎ্সক সঙ্কট প্রকট। রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎ্সা এবং   পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই রোগীদের চিকৎসা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের মাথায় বিশাল আকারের নাম করা চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্টের নামে সাইনবোর্ড ঝুললেও পাওয়া যায় না ডিগ্রিধারী কাউকে।

আরও জানা যায়, উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বিভিন্ন স্থানে তিনটি প্রাইভেট হাসপাতাল, ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ৫টি দস্তচিকিৎসা কেন্দ্র ও অর্ধশত ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ১০টি করে বেডের অনুমতি থাকলেও সেখানে ১৫ থেকে ২০টি বেড বসানো হয়েছে। প্যাথলজিগুলোতে নেই ডিপ্লোমাধারী টেকনিশিয়ান। রোগ নির্ণয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক উপকরণ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা নেই। নেই কোনো পরিবেশ পরিছন্নতা নোংরা ও গন্ধে ক্লিনিকগুলোতে যাওয়া যায় না । স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে প্রায় দেখা যায় ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক রোগীর অকালে প্রাণ পর্যন্ত দিতে হয়। আবার অনেকেই পঙ্গু পর্যন্ত হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় রোগীর পরিবারকে ম্যানেজ করে মীমাংসা করে থাকে। তাই এলাকার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।