দর্শনা প্রেসক্লাবে আবারো প্রতিবাদসভা : কাল বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মৌন মিছিল

 

সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদের ওপর হামলা মামলায় আর গ্রেফতার হয়নি কেউ

 

দর্শনা অফিস: সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা মামলায় মিনারুল ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মামলার বাদি সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদ। পুলিশ দফায় দফায় অভিযান অব্যাহত রাখলে এ পর্যন্ত মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আসলে গ্রেফতার করতে পারছেনা নাকি গ্রেফতার করছেনা এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা পৌর কাউন্সিলর আ.লীগ নেতা হাসান খালেককুজ্জামানের ওপর স্টেশন চত্বরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। খালেককে পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারিরা। খালেক ও তার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হামলাকারিরা ছিলো মিনারুল, রানা ও ফারুকসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার দর্শনা সহকারী ব্যুরো প্রধান চঞ্চল মেহমুদ। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে হামলা চালায় মিনারুল, রানা ও ফারুকসহ ১০/১২ জন। হামলাকারিরা প্রকাশ্য জনসম্মুখে চঞ্চল মেহমুদকে মারধর করতে করতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের বাধার মুখে ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন চঞ্চল মেহমুদ বাদি হয়ে মিনারুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় দায়ের করেছেন মামল। পুলিশ ওই রাতেই মিনারুলকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও আর কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চঞ্চল মেহমুদ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে জরুরি প্রতিবাদসভায় ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের দর্শনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদসভা। এ সভায় সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদের ওপর হামলাকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে আগামীকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে করা হবে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মৌন মিছিল। সভায় আলোচনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মনিরুজ্জামান ধীরু, এফএ আলমগীর, ক্লাবের সভাপতি হানিফ মণ্ডল, সহসভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধো, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, জাহিদুল ইসলাম, নুরুল আলম বাকু, মাহমুদ হাসান রণি, ইয়াছির আরাফাত মিলন, নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান সুমন, আহসান হাবীব মামুন, জামান তারিক, এসএম ওসমান, আজিম উদ্দিন, আ. জলিল, সাব্বির আলীম, মনজুরুল ইসলাম, রাজিব মল্লিক, জিল্লুর রহমান মধু, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, মেহেদী হাসান প্রমুখ। এদিকে দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিস্তার করা হয়েছে জাল। দফায় দফায় অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। যেকোনভাবে তাদের গ্রেফতার করা হবেই হবে।