দর্শনায় প্রতিনিধি ও আ.লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এমপি আলী আজগার টগর : প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে

 

 

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের স্থানীয় জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা পুরাতন সিনেমাহল চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি, অসাংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির পথ প্রদর্শক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তারই সু-যোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের আপামর জনতার নিরঙ্কুশ রায় পেয়ে পূনরায় ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত জনতার দল আ.লীগ। বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে নির্যাতন, নিপিড়ণ, সন্ত্রাস, লুটতরাজসহ অপরাধমূলক কর্মকা-ের রাজত্ব কায়েম করেছিলো বলেই আজ তাদের এ ভরা ডুবি। আমরা তাদের মতো কূকর্ম করে নিন্দিত হতে চাই না। হতে চাই জনগণকে সাথে নিয়ে ভালো কাজ করে নন্দিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়তে যে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা বিনষ্ট করার জন্যে একটি সার্থন্বেসি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সাম্প্রদায়িকতার ধোয়া তুলে ধর্মের দোহায় দিয়ে ৭১’র পরাজিত অপশক্তি জামাত-শিবির দেশকে অস্থিথিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলো, আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছি। দেশের মানুষ আজ শান্তিতে বসবাস করছে। নেই খুন-গুম, চাঁদাবাজি, রাহাজানিসহ অপরাধমূলক কর্মকা-। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ ভিশন বাস্তবায়নের জন্য অবিরাম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আসুন দেশ ও জাতীর কল্যাণে সে লড়াইয়ের সৈনিক হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করি। গড়ে তুলি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের আহ্বানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৬ বছর পরেও যারা এখনো বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দেশকে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আমি তাদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবরের আদর্শে গড়া সৈনিক। ৩০ লাখ শহীদ ও অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। এখনো জাতীয় পতাকা খামচে ধরার চেষ্টা করছে ৭১’র পরাজিত শক্তি। জাতীয় পতাকার মান অক্ষুণœœ রাখতে এ দেশের সংগ্রামী জনতা তাদের অপশক্তিকে রুখে দিয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওই সব পাকিস্তানের দালালদের চিহ্নিত করে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবো ইনশাল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত অব্যাহত রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ২০২১ ভিশন সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা শেখ মজিবর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। দেশকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে গ্রহণ করেছেন নানামুখি কর্মসূচি। তাই আসুন দেশের উন্নয়নে আ.লীগের পতাকা তলে সামিল হই।

দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ইউপি চেয়ারম্যান, খলিলুর রহমান ভুট্টো, শাহ এনামুল করিম ইনু, সোহরাব হোসেন, মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য মুন্সি সিরাজুল ইসলাম, শফিউল কবির ইউসুফ। দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলমের উপস্থাপনায় সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলাম, আলী মুনসুর বাবু, গোলাম ফারুক আরিফ, বরকত আলী, মুনতাজ আলী, শওকত আলী, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, হামিদুল্লাহ, রহমতুল্লাহ, আবু জাফর, খবির উদ্দিন, আলী হোসেন, আবুল হোসেন, উসমান গনি, ইয়াছ নবী, মোমিনুল ইসলাম, তমছের আলী, আরজুম মেম্বার, শফিকুল আলম, মোমিনুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, ফিরোজ আহমেদ সবুজ, বিল্লাল হোসেন, আজাদ, হবা জোয়ার্দ্দার, যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান ছোট, আজিজুর রহমান বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা, মামুন শাহ, সোলায়মান কবির, ছাত্রলীগ নেতা জামিরুল ইসলাম, সাজিদুল ইসলাম রিংকু, আরিফ মল্লিক, রফিকুল ইসলাম ববি, নাহিদ পারভেজ, তোফাজ্জেল হোসেন তপু, লোমান, আলামিন, প্রভাত, রায়হান, অপু সরকার প্রমুখ।