দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর দামুড়হুদার শিবনগর ডিসি ইকোপার্ক

 

কুড়লগাছি প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক লেকের তীরে মানুষের ঢল। মানুষের পদচারণায় মুখোরিত দামুড়হুদার শিবনগর ডিসি ইকোপার্ক এবং বটতলীর বিলের তীর। পবিত্র ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দামুড়হুদাসহ আশপাশের উপজেলার ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন বিনোদনপ্রেমী হাজারো মানুষ ভিড় করছেন দামুড়হুদার শিবনগর ইকোপার্ক,  বিভিন্ন বিনোদনের কেন্দ্রগুলোতে। বিনোদন প্রেমীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো  প্রাকৃতিক লেক এলাকা। শুধু ঈদের দিনটিতেই নয় গত কয়েকদিন থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সব বয়সেরই বিনোদন প্রেমী দর্শনার্থীদের পদচারণায় ও মিলন মেলায় মুখরিত ও প্রাঞ্জলিত হয়ে উঠেছে আশপাশের এলাকা।

নাটুদার মাস্টার শহিদুল জানান, ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত অন্তত কয়েক লক্ষ্য বিনোদন প্রেমীর ভিড়ে পুরো লেক এলাকা মুখোরিত হয়ে উঠেছে। ইকোপার্কের রক্ষা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দোকান। সেসব দোকানেও চলছে হরদম বেচাকেনা। প্রতিদিন এই এলাকায় বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদভারে এর আশেপাশের এলাকাও মুখোরিত। ক্রমেই পরিচিতি লাভ করছে এই পার্কটি বিনোদন হিসেবে। উপজেলার কোনো বিনোদন কেন্দ্র, শিশু পার্ক বা পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে। লেকে রয়েছে ছোট ছোট শ্যালো নৌকা। এসব নৌকা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভ্রমণ পিপাসু ও উৎসুক দর্শনার্থী। আগত দর্শনার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গড়ে উঠেছে ভাসমান কয়েকটি দোকান।

লেকের পাড়ে ভাসমান ফাস্ট ফুডের দোকানের মালিক জানান, প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা বেচাকেনা করছি। উপজেলার সকল স্তরের মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের মতে এখানে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, যাত্রী ছাউনি নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নিরাপত্তাজনিত কারণে দূর থেকে আসা লোকজন কিছুটা সমস্যা মনে করলেও হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমনে আশেপাশের এলাকায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দর্শনার্থীরা এলাকায় একটি পার্কসহ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবিসহ অভিযোগ করে বলেন যেখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল সেখানে কোনো এলাকায় নেই নিরাপত্তা বা পুলিশি টহল। সব মিলিয়ে ঈদের দিনে পার্কে যেন এক বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়। বর্তমানে পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে।