দর্শনাবাসীর স্বপ্ন পূরণে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দরের দাবি দীর্ঘদিনের। এ দাবি পূরণের সুযোগ এসেছে। সরকারের সংশিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতায় সম্ভব দর্শনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের এ দাবি পূরণ করা। দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে দুদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন কার্যক্রম শেষ করেছেন। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে দর্শনা জয়নগর সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের কাষ্টমস প্রতিনিধি দলের বৈঠক। এবার কাস্টমসের যশোর কমিশনার মতবিনিময় করলেন বন্দর বাস্তবায়ন কমিটি ও সুধী মহলের নেতৃবৃন্দের সাথে। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে কেরুজ অতিথি ভবনে মতবিনিময়ে মিলিত হন কাষ্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর’র কমিশনার জামাল হোসেন। বন্দর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাসুম, জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হাজি হারুন অর রশিদ, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম লুল্লু, জয়নাল আবেদীন, দর্শনা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আবুল হোসেন, সুপার গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, আ.লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক সাংবাদিক রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দর্শনায় রেলবন্দর, কাষ্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবিসহ বন্দরের সব অবকাঠামো বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া দর্শনা কাস্টমস চেকপোস্টের মাধ্যমে প্রতিদিন দু দেশের ৫ শতাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। একমাত্র যাত্রীবাহী মৈত্রী ট্রেনে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৬ দিন ঢাকা-কোলকাতা চলাচল করছে। ১৯৬২ সাল থেকে চালু হওয়া দর্শনা রেলবন্দরে রেলের ওয়াগনে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। স্থলপথে ট্রাকযোগে পণ্য আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হলে একদিকে যেমন সুযোগ পাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে পূরণ হবে দর্শনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করতে হলে ভারতের গেদে থেকে মাত্র  ৮শ মিটার রাস্তা ও বাংলাদেশের দর্শনা থেকে ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক প্রশস্ত করে দু দেশের সরকারি পর্যায়ে চুক্তি করতে পারলে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর চালু করা সম্ভব। যশোর কাষ্টমস কমিশনার জামাল হোসেনের নির্দেশে চট্রগ্রামস্থ তরঙ্গ অ্যাড স্কোয়াড’র সত্বাধিকারী শাওন পান্থ গত রবি ও সোমবার দর্শনায় রেলবন্দর এলাকা ঘুরে দর্শনা পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে সম্ভাবনার ওপরে একটি সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। দর্শনা পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নের বিষয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দু দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে ওই সচিত্র প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হতে পারে। গতকালের এ মতিবিনিময়ে দর্শনা স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কার্যক্রম আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।