ট্রাক তল্লাশির কথা শুনে পুলিশের হাতে চাবি দিয়ে চালক ও হেলপারের আত্মগোপন

 

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: আন্দুলবাড়িয়া বাজার থেকে রহস্যাবৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ট্রাকটি তল্লাশি করতে চাইলে চালক ও হেলপার পুলিশের হাতে চাবি দিয়ে কৌশলে সটকে পড়ে। ফলে স্থানীয় কৌতূহলী জনতা প্রশ্ন তোলে? কী আছে ট্রাকে? সোনা নাকি ফেনসিডিল?

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ অবশ্য রাতে বলেছেন, ট্রাকটিতে প্রাথমিকভাবে তল্লাশি করে চালক আসনের ড্রয়ার থেকে নগদ ১৬শ ৪০ টাকা পাওয়া গেছে। ট্রাকের অন্য কোথাও কিছু লুকিয়ে রাখা আছে কি-না তা সকালে প্রয়োজনে মিস্ত্রি ডেকে তল্লাশি করা হবে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারের লতিফ ট্রেডার্সের সামনে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে একটি ট্রাক থামে। পিরোজপুর ট-১১০০২০ ট্রাকটি কেন থেমে? শাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির টহল দলের হাবিলদার শহিদুল ইসলামের সন্দেহ হয়। সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি ট্রাকের কাছে পৌঁছে চালক ও হেলপারকে বলেন, ট্রাকটি তল্লাশি করা হবে। এ কথা শুনে চালক ট্রাকের চাবি হাবিলদারের হাতে তুলে দিয়ে কৌশলে সটকে পড়ে। হেলপারও গা ঢাকা দেয়। পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যায়। উৎসুক জনতাও ভিড় জমায়। কৌতূহলবশে প্রশ্ন তোলে ট্রাকে এমন কী আছে যে, ট্রাক রেখে কৌশলে পালিয়ে গেলো চালক ও হেলপার? জবাব মেলেনি।

ট্রাকে লেখা আছে পারভেজ এন্টারপ্রাইজ, হাবিব মোটরস, ঝিনাইদহ। মোবাইল নং ০১৭১১৮০৭৩৯৩। এ নম্বরে সাথে সাথে রিং করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অবশ্য রাত পৌনে ‌১২টার দিকে ফোনটি খোলা পাওয়া গেলে এক ব্যক্তি রিসিভ করে বলেন, আমি ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। ট্রাকটি মহিউদ্দীনের। আমাদের ব্যানারে ট্রাকটি কেন চালানো হচ্ছে তা বলতে পারবো না।

ট্রাকটি নিয়ে রাতে রহস্য দানা বাধে। কী এমন রয়েছে যে চালক পালিয়েছে? আজ হয়তো এ প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে। অবশ্য পুলিশ যদি আন্তরিক হয় তবেই। তা না হলে রহস্য রহস্যই থেকে যাবে।