ঝিনাইদহে ৮শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা : মামলা করতে নেতাদের বাধা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশঙ্করপুর ইউনিয়নের আয্যনারায়নপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় রোববার সকালে সাহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান (১৮) ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে পাটক্ষেতের মধ্যে মুখ বেধে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আয্যনারায়নপুর থেকে কালা গ্রাম যাওয়ার রাস্তায় মেয়েটি কাজ করছিলো। একটি বিশেষ প্রয়োজনে তাকে ডেকে পাঠায়। মেয়েটি যাওয়ার সময় মেহেদি হাসান বটতলা নামক স্থানে দাড়িয়ে ছিলো। মেয়েটি মেহেদি হাসানের বাড়ির নিকট পৌঁছুলে মেহেদী পেছন থেকে চুপি চুপি তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে জোর করে পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। এ সময় ওই মেয়েটির চিৎকারে রাস্তার পাশে জনৈক দুজন কাজ করা অবস্থায় ছুটে এসে পাটক্ষেতে দুজনকে ধস্তাধস্তি অবস্থায় দেখতে পায়। দুজনকে দেখে মেহেদি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে মেয়ের অভিভাবকগণ মামলা করতে চাইলে গ্রামের নেতারা মামলা করতে ও প্রশাসনকে জানাতে নিষেধ করে।

মেয়ের অভিভাবককে স্থানীয় নেতার বলেন, আমরা উপযুক্ত বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছি। কিন্তু দু দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনো প্রকার বিচার সালিস হয়নি। মেয়ের নানি এই ঘটনার দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বলেন, আমার কোনো ছেলে নেই বলে আমি বিচার পাচ্ছি না। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদী এর আগে আরও দুবার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সমাজের প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় পার পেয়ে গেছে। এদিকে মেহেদী হাসানের মা ওই ঘটনাকে মিথ্যা বলে দাবি করে ও ছেলে মেহেদী কোথায় আছে তাও বলতে অস্বীকার করে মেহেদীর মা। হরিশঙ্করপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাংবাদিকদের নিকট থেকে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে বিষয়টা স্থানীয়ভাবে সামাজিক নেতারা মীমাংসা করবেন বলে তাকে জানিয়েছে গ্রামের সরকারি দলীয় নেতারা। এ প্রসঙ্গে হরিশঙ্করপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম কিছু জানে না বলে সাংবাদিকদের জানান।