জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার দু ভাই-বোনের বিরুদ্ধে গণপিটিশন হাবু ও বাবুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার গহর আলী তার বোন নাসিমার সহায়তায় মামলা করে ও মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ এলাকার ৮৫ জনের গণস্বাক্ষরিত গণপিটিশনে এ অভিযোগ করে বলা হয়েছে, গ্রামেরই হাবিবুর রহমান হাবু ও সালাউদ্দীন বাবুর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছে তা আমাদের জানা মতে সত্য নয়। সাজানো। ফলে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আশু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এর আগেও নাসিমা খাতুন অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার মৃত আব্দুল গনির ছেলে গহর আলী গত ১৩ এপ্রিল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দামুড়হুদা আমলি) আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, বাদীর বোন নাসিমাকে কুপ্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে একই গ্রামের বারুইপাড়ার মৃত খবির উদ্দীনের দু ছেলে হাবিবুর রহমান হাবু ও সালাউদ্দীন বাবু শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। নাসিমা রক্তাক্ত জখম হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘কুপ্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে গৃহবধূরকে মেরে জখম’ শীর্ষক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান ও সালাউদ্দীব বাবু। সালাউদ্দীন বাবু স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। নিজের শরীর নিজে কেটে নাসিমা নাটক করেছে। থানায় গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বুঝতে পারে, মামলাটি সাজানো। এরপর নাসিমার ভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি দামুড়হুদা থানায় তদন্তাধীন।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাবিনা ইয়াসমিনসহ স্থানীয় ৮৫ জনের মধ্যে গহর আলীর দায়ের করা মামলার একজন সাক্ষীর রয়েছে যিনি ওই মামলাকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর পেশকৃত গণপিটিশনে স্বাক্ষরকারীরা নাসিমা খাতুন ও তার ভাই গহর আলীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানোর পাশাপাশি গহর আলীর দায়ের করা মামলার প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু ন্যায্য তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে আশু পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সাথে হাবিবুর রহমান হাবুর বিরুদ্ধে ওই নাসিমা খাতুনের পূর্বের শ্লীলতাহানির মামলা প্রসঙ্গটিও সামনে তুলে নিয়ে বলা হয়েছে, মামলা করে ও মামলার ভয় দেখিয়ে যারা সুবিধা আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলে গ্রামের শান্তিকামী মানুষ উপকৃত হবে।