জোহরা তাজউদ্দীনের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মিণী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন আর নেই (ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)।

গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বাদ আছর গুলশান মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জোহরা তাজউদ্দীনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন। জোহরা তাজউদ্দীনের মেয়ে সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি জানান, গত নভেম্বরে পড়ে গিয়ে জোহরা তাজউদ্দীন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে দিল্লির একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে তার একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার পর কিছুটা উন্নতি দেখা দিলে গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় এনে পুনরায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শ্বাসকষ্ট হলে তাকে ভেন্টিলেশন দিয়ে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। শুক্রবার সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ জানান, জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ) দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে এলে শহীদ তাজউদ্দীনের কবরের ওপর জোহরা তাজউদ্দীনকে দাফন করা হবে। সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির মা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যখন আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিন চলছিলো তখন তিনি আহ্বায়ক হিসেবে দলের হাল ধরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বেগম জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সহযোগী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল। তিনি মরহুমার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।