জীবননগর ইউএনও অফিসের পিয়ন সাজেদুরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের পিয়ন সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বাজারের প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী গণস্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে পিয়ন সাজেদুর রহমানকে অবিলম্বে অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক জীবননগরের বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামসহ বাজারের ১৯৭ জন ব্যবসায়ীর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পিয়ন সাজেদুর রহমান দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এ উপজেলাতে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরির কারণে তার ভেতরে একপ্রকার উচ্ছৃঙ্খলাভাব সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট নিজেকে একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে জাহির করে থাকেন। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে শাড়ি-কাপড় ও কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন মালামাল বাকিতে নিয়ে গিয়ে পরবর্তীতে টাকা না দিয়ে উল্টো মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে শায়েস্তা করার হুমকি-ধামকি প্রদান করে থাকেন। টাকা চাইলে অসদাচরণ করে থাকেন। মোবাইলপকার্ট পরিচালনাকালে তিনি উপস্থিত থাকায় ব্যবসায়ীরা তাকে ভয় পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসের চাঁদা আদায়কালে পিয়ন সাজেদুর অতিরিক্তি হারে চাঁদা আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী ধার্য্যকৃত চাঁদার পরিবর্তে নিজের সামর্থ অনুযায়ী চাঁদা দিতে চাইলে ওই ব্যবসায়ীর সাথে তিনি খারাপ আচরণ করে থাকেন এবং তার বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার হুমকি দিয়ে থাকেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা মসজিদে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সাহায্য উত্তোলনকালে পিয়ন সাজেদুর মুসল্লিদের সাথে চরম খারাপ আচরণ করেন। সাজেদুরের এ আচরণে উপস্থিত মুসল্লিরা হতবাক হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পিয়ন সাজেদুর রহমানের অত্যাচারে তারা চরমভাবে অতিষ্ঠ ও ক্ষুদ্ধ। এ অবস্থায় তাকে অবিলম্বে অপসারণসহ তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।