জীবননগরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী তুলে নিয়ে যাওয়া জড়িতদের শাস্তির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসাধীন রোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকীয়ে রেখে নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগে সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি উঠেছে। গতকাল সোমবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই জনপ্রতিনিধিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যার দিকে নিশ্চিন্তপুর মাদরাসাপাড়ার ফজলুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী নুরু মণ্ডলের ছেলে ফারুক ও মিঠুর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত ফজলুর রহমান ও ছেলে হামিদুল ইসলামকে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। নির্যাতিত হামিদুল ইসলাম দাবি করছেন, রাত ১২টার দিকে তাকে সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন মঈনের নেতৃত্বে নুরু মণ্ডলের ছেলে ফারুক তার সহোদর মিঠু, আব্দার রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও শরিফুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে একটি নির্জন আমবাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর চলাকাঠ দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে জখম করে আটকীয়ে রাখে। পরদিন স্বজনরা তাকে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে তিনি জানান। একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটায় স্থানীয় জনতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।