জাল টাকাসহ যশোরের শার্শা-বেনাপোল আসনের সাবেক এমপিপুত্র আটক

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাল টাকার কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে যশোরের শার্শা-বেনাপোল আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি আলী কদরের ছেলে ইফতেখার কদর রানাকে (৩৪) আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা, একটি ট্যাব ও সংসদ সদস্যের স্টিকার সংবলিত গাড়িসহ তাকে আটক করা হয়। একই সময়ে র‌্যাব কলাবাগান ও পল্টনে অভিযান চালিয়ে ৩৭টি ল্যাপটপ, ১১৫টি মোবাইল ফোনসেট, তিনটি পাসপোর্টসহ ছিনতাইকারীচক্রের তিন সদস্যকে আটক করে। এরা হলো আসিফ আজাদী (২৩), সাইফুল ইসলাম জনি (২৩) ও মনির হোসেন (৩০)।

র‌্যাব-২’র উপপরিচালক ড. দিদারুল আলম জানান, জাল টাকা কারবারের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জাল নোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। চক্রটির ব্যাপারে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। পরে কৌশলে গতকাল দুপুরে মিরপুর রোডে আড়ঙের সামনে থেকে জাল টাকার কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে রানাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকার জাল নোট, সংসদ সদস্যের স্টিকার সংবলিত একটি গাড়ি ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়। ড. দিদারুল আরো জানান, আটক ব্যক্তি গ্রামীণফোনের সেলবাজার ও বিক্রয় ডটকমে দেয়া বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্যটি কিনে টাকা পরিশোধ করে দ্রুত চলে যেতেন। বিক্রেতা পরে বুঝতে পারতেন টাকাগুলো জাল। এ প্রতারণার জন্য প্রত্যেক সময় রানা একবারই একটি মোবাইলফোন ও সিম ব্যবহার করতেন।

ড. দিদারুল আলম আরো জানান, বাবা সাবেক এমপি হওয়ায় রানা গাড়িতে এমপি স্টিকার লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলতেন। এ সুযোগেই ভাই ইত্তেহাদ কদর দারাকে নিয়ে তিনি জাল টাকার কারবার করে আসছিলেন। এ ছাড়া এ ব্যবসায় জুয়েল নামে তাদের এক সহযোগীও রয়েছে। রানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দারা ও জুয়েলকে ধরতে র‌্যাবের অভিযান চলছে।

এদিকে র‌্যাব-২’র সিনিয়র এএসপি রায়হান উদ্দিন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২’র একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ইস্টার্ন প্লাজার সামনে থেকে আসিফ ও জনিকে দুটি ল্যাপটপ এবং একটি নোটবুকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ইয়েস টেল, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম মার্কেটের নিউ হাবিব ইলেকট্রনিকস, শাহীনূর ইলেকট্রনিকস ও সুমা ইলেকট্রনিকসের গোডাউনে রাখা ছিনতাইকৃত ১২৪টি মোবাইল ফোনসেট এবং ৩৬টি ল্যাপটপ, তিনটি পাসপোর্ট, চারটি ক্যামেরাসহ ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার এবং মনির হোসেনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।