চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক চত্বরে একটু বৃষ্টিতেই জমে হাঁটু পানি : ভোগান্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রয়াত্ব সোনালী ব্যাংকের চুয়াডাঙ্গা শাখা। যেখানে গরিব দুস্থের ভাতাসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। তাই অন্য ব্যাংকের তুলনায় ওই ব্যাংকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ভিড় হওয়া স্বাভাবিক। সেবা পেতে বিভিন্ন সময় নানা ভোগান্তি হলেও এবার ব্যাংক চত্বরে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

ব্যাংক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে ব্যাংক চত্বরে জমেছে হাঁটু পানি। এছাড়া বিভিন্ন সময় একটু বৃষ্টি হলেই জমে পানি। প্রতিবার ব্যাংক চত্বরে বৃষ্টির পানি জমলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে পৌরসভা। তবে এবার একাধিক বার বলা সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি। গতকাল বুধবার সকালে ব্যাংকটিতে গিয়ে দেখা গেলো, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় পুরো ব্যাংক চত্বর ছিলো পানিতে ডোবা। সাধারণ মানুষ সেবা নিতে ব্যাংকে এসে প্যান্ট ও পাজামা উঁচিয়ে জুতো হাতে পানি পার হচ্ছেন। কেউ আবার বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল চালিয়েই পানি পার হয়ে ভেতরে ঢুকছেন।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, ব্যাংকে সেবা নিতে এসে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এবার ভোগান্তির তালিকায় যোগ হয়েছে জলাবদ্ধতা। ব্যাংক চত্বরে পানি জমলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। একটি টেকসই পরিকল্পনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে।

ব্যাংকটির অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মাহববুর রহমান জানান, ব্যাংকটি অনেক পুরোনো। যখন ব্যাংকটি স্থাপন করা হয়েছিলো তখন ব্যাংক সংলগ্ন প্রধান সড়ক অতো উঁচু ছিলো না। কালক্রমেই প্রধান সড়ক মেরামত করা হচ্ছে। ফলে ব্যাংক চত্বর থেকে সড়ক উঁচু হয়ে গেছে। মূলত পাশের ড্রেন জ্যাম হওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। প্রতিবার এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পৌরসভার পক্ষ থেকে ড্রেন পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এবারও একাধিকবার পৌরসভাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তবে সাড়া মেলেনি।