চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্সের দু চালকের মারামারি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে বেসরকারি দুটি অ্যাম্বুলেন্সের দু চালক রানা ও মনির মধ্যে তুমুল মারামারি হয়েছে। উভয়ই কমবেশি রক্তাক্ত জখম হলেও হাসপাতালের বদলে নিকটস্থ ওষুধের দোকানে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
রানা দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে। আর মনিরুল ইসলাম মনি গুলশানপাড়ার মাদার বকশের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ামারা নিয়ে প্রথমে দুজনের মধ্যে বাগবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে হাসপাতাল এলাকার নিরাময় ক্লিনিকের পরিচালক সাইদুরের মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সের চালক মনি রুখে গিয়ে রানাকে মারতে শুরু করে। রানা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক সাকুর ভাই জামাল পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্সের চালক। সেও মার শুরু করে মনিরকে।
স্থানীয়রা বলেছেন, সরকারি হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী তুললেও পথিমধ্যে বিকল করে বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সে মোটা অঙ্কের ভাড়ায় রোগী তুলে দেয়া হয়। রোগী বা রোগীর লোকজন মোটা অঙ্কের ভাড়াতেই গন্তব্যে যেতে বাধ্য হন। এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভালো থাকলেও আয় থেকে বঞ্চিত হয় যেমন সরকার, তেমনই নির্ধারিত মূল্যে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হন রোগী সাধারণ। এ পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ঘিরে বেশ ক’জন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা শুরু করেছে। এরা নিজেরা সিন্ডিকেট করে পালাক্রমে ভাড়া মরে চড়ামূল্যে। কেউ নিয়ম ভাঙলেই শুরু হয় কড়া শাসন বা মারামারি। গতকাল অ্যাম্বুলেন্সের দু চালকের মধ্যে কেন মারামারি তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।