চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা : কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দেয়ার আহ্বান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ হুইপ সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। এ সময় তিনি ১০০ শয্যা জনবল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছেন বলে জানান। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন। যেহেতু আমাদের সিসিইউ ইউনিট চালু করার জন্য সকল সরঞ্জাম রয়েছে। লোকবল নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলা থেকে জনবল ডেপুটেশনে নিয়ে এসে আপাতত সিসিইউ ইউনিট চালু করার জন্য সভার সভাপতি সিভিল সার্জন ডা. মু. সিদ্দিকুর রহমানকে বলেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকর্মী কম থাকায় জেলা পরিষদের প্রশাসককে আপাতত জনবল দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন। একই সাথে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়েও তিনি জেলা পরিষদ প্রশাসককে সুপরিশ করেন। এ সময় জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং সিসি ক্যামেরা অর্ধেক খর দেবেন বলে তিনি জানান। বিশুদ্ধ পানির নলকূপে গোড়ায় শান এবং ওপরে টিনশেডের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। এ সময় হাসপাতাল চত্বরে বিশৃঙ্খলাভাবে ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান থাকায় যানজট সৃষ্টি হয় একই সাথে হাসপাতালে অকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ মোতায়নের জন্য অনুরোধ করলে পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। সর্বশেষ হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, আপনাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো; কিন্তু আপনারা ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্ত, মহিলা কউন্সিলর সুলতানা আরা রত্ন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগমসহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতেলর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে। এ সময় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সদর হাসপতালের স্টোরকিপার হাদী ও এমএলএসএস সাইফুলসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাংবাদিক ঢুকতে বাধা দেন এবং বলেন সভা চলছে ভেতরে যাওয়া যাবে না। এছাড়াও হাসপাতালে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। হাসপাতালের উপস্থিতিতে নিকট থেকে হাসপাতালের সমস্যা শোনেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্বে আন্তরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনাদের সকল দাবি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করবো। হাসপাতালে ভেতরে ইজিবাইক ঢুকে যানজট সৃষ্টি করে তাতে রোগী ও রোগির লোকজনকে হয়রানির শিকার হতে হয়। হাসপাতাল এলাকায় যানজট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।