চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়াসীমার দাফন সম্পন্ন : আন্দুলবাড়িয়া খাপাড়ায় শোকের ছায়া

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া খাপাড়ার হতদরিদ্র আবু হোসেনের মেয়ে সীমা খাতুনের(২১) দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গতপরশু রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সীমা মারা যায়। মৃতদেহ ওই রাতেই আন্দুলবাড়িয়া খাপাড়ায় নেয়া হলে স্বজনদের আহাজারিতে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে।

মৃত্যুর খবর দেয়া হয় হতভাগী সীমা খাতুনের স্বামী নীরবকে। নীরব রংপুর পরিবহনে চাকরি করে। রাতেই স্ত্রী মারা যাওয়ার খবর শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। সকালে রওনা দেয় আন্দুলবাড়িয়ার উদ্দেশে। পৌঁছায় বিকেলে। শোকার্ত বাড়িতে প্রবেশ করতেই স্ত্রীর লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যর অবতরণাঘটে। উপস্থিত অনেকে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। অশ্রুসজল ব্যথিত অনেকে দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, হায়রে কপাল, হায়রে চিকিৎসা ব্যবস্থা। গরিব হয়ে জন্ম নেয়া যেন আজন্ম পাপ। বিকেল ৫টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া খাঁজা পারেশ সাহেবের রওজার ঈদগা ময়দানে সীমা খাতুনের জানাজা শেষে বেদনাবিধুর পরিবেশে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।

প্রসঙ্গত, আন্দুলবাড়িয়া খাঁপাড়ার হতদরিদ্র মাংসব্যবসায়ী আবু হোসেনের নববিবাহিতা মেয়ে সীমা খাতুন গত বৃহস্পতিবার ডায়বেটিস ও হার্ট সমস্যায় অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাতে সে মারা যায়। তাকে নিয়ে তার পিতার হয়রানির বিষয়ে গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।