চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ

আজ থেকে বাড়তি দায়িত্ব শুরু

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদের পাঁচ বছর মেয়াদ গতকাল ৩১ আগস্ট শনিবার শেষ হয়েছে। ২০০৮ সালের চার আগস্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর এ পরিষদ ওই বছরের পয়লা সেপ্টেম্বর দায়িত্বভার গ্রহণ করে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার  আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার তফশিল ঘোষণা করা হয়নি। কতোদিনে হবে তাও পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না কেউই। মাসখানেক আগে মুখে মুখে প্রচারিত হয়, ২৯ আগস্ট নির্বাচনের প্রাথমিক দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, শিগগিরই তফশিল ঘোষিত হবে। চুয়াডাঙ্গা নির্বাচন অফিসারও বলেন, সকল প্রকারের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিলো। তফশিল ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছিলো। এরই মাঝে হুট করে সেই প্রক্রিয়া ভাটা পড়ে। কেন তফশিল ঘোষিত হচ্ছে না? এ প্রশ্নের জবাব নিশ্চিত করে কেউ দিতে পারছে না।

এদিকে বর্তমান পৌর পরিষদের বাড়তি মেয়াদ শুরু হওয়ায় অনেকেই সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের সময়কালীন কথা স্মরণ করতে শুরু করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনা হচ্ছে বর্তমান পরিষদও কি অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পরিষদের (১৯৯৩-২০০২) দেখানো পথে হাঁটছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে এলেও তফশিল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় এসব প্রার্থী প্রচারণা থামিয়ে দিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের চার আগস্ট চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার  মেয়র,  রমজান আলী চান্দু, রেজাউল হক রেজা, নাজমুস সালেহীন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, গোলাম মোস্তফা শেখ মাস্তার, ফরজ আলী শেখ, সাইফুল আরিফ বিশ্বাস লিটু, সিরাজুল ইসলাম মনি ও শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার কাউন্সিলর এবং সেলিনা ইয়াসমিন শম্পা, সুলতান আরা বেগম রত্না ও জাহানারা বেগম সংরক্ষিত কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই পরিষদ ১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে হিসেবে গতকাল ৩১ আগস্ট বর্তমান পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তফশিল ঘোষণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো চিঠি পাইনি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *