চুয়াডাঙ্গা দু শিশুর পরিবারের সাথে দেনদরবারের সময় যুবক মামুন খান গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: পথভোলা দু শিশুকে জিম্মি করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে চুয়াডাঙ্গা সবুজপাড়ার যুবক মামুন খান। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে দু পরিবারের সদস্যদের সাথে দেনদরবারের সময় নিরাময় নার্সিং হোমের সামনে থেকে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে করে পুলিশে দেয়। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ মামুনকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মারুফ (১২) ও মিনারুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ (১০) গ্রামের মোচাইনগর হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। তাদের বাড়ি থেকে সামান্য বকাবকির কারণে তারা রাগ করে গতকাল সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে আসে। মিনারুলের ছোট চাচার শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামে। মারুফ ও মাহফুজ সেখানে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু বেলগাছি গ্রাম না চেনার কারণে তারা ইসলামী হাসপাতালের কাছে এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে বেলগাছি কোনদিকে?  সুযোগ নেয় চুয়াডাঙ্গা সবুজপাড়ার নফিজ উদ্দীনের ছেলে মামুন খান। কৌশলে সে পথভোলা দু শিশুকে নিরাময় নার্সিং হোমের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে। অভিযুক্ত মামুন (২৮) নিজেকে পুলিশ পরিচয়

rrrr copy

দিয়ে দু শিশুর মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পথভোলা শিশু মারুফের ছোট চাচি বেলগাছি গ্রামের শিউলী কৌশল অবলম্বন করে ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। কোনো সময় হাসপাতালরোডের সিয়াম ফার্মেসি, কোন সময় মতিন ফার্মেসি আবার কখনো আশা ফার্মেসির কাছে টাকা নিয়ে আসতে বলে মামুন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশু মারুফের চাচি শিউলী মুক্তিপণ দিতে এলে নিরাময় নার্সিংহোমের সামনে মুক্তিপণ চাওয়া মামুনের সাথে দেখা হয়। তিনি মুক্তিপণ পরিশোধের আগে দু শিশুকে দেখতে চান। কিন্তু জিম্মিকারী মামুন খান আগে টাকা দাবি করেন। শেষে মামুন পথভোলা দু শিশুকে দেখান। এ সময় শিউলী খাতুন মিষ্টি খাওয়া বাবদ ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয় মামুন। এ নিয়ে সেখানে হট্টগোল শুরু হলে সাধারণ লোকজন জুটে যায়। এ সময় এলাকার লোকজন মামুনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের এসআই খালিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দু শিশু মারুফ ও মাহফুজকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্ত অপহরক মামুন খানকে গ্রেফতার করে থানায় নেন। থানা কাস্টডিতে মামুন খান নিজের শরীর নিজে ব্লেড জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের ওপর উগ্র আচরণ করতে থাকে।