চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেছে লিখিত আবেদনে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসরেকুল ইসলাম অধিকাংশ দিনই প্রতষ্ঠানে থাকেন না। আর এতে আমাদের ঠিকমতো ক্লাস হয় না। আর এ কারণে প্রতিষ্ঠানের ফলাফলও খারাপ হয়। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদের ও আমাদের পিতা-মাতার সাথে খারাপ আচারণ করেন। সর্বশেষ অসদাচরণ করেছেন ইলেকট্রিক ট্রেডের ১০ শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল ইসলামের পিতার সাথে। জাহিদুলের রোল নম্বর ১৬৩০১। ওয়েল্ডিং ট্রেডের চীফ ইন্সট্রাক্টর রওশন আলীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। তার মেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ৯ম শ্রেণিতে পড়ার কারণে স্বজনপ্রীতি করে থাকেন। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির টাকা হাতে না দিয়ে তিনি আমাদের দিয়ে খাতাই স্বাক্ষর করিয়ে টাকা পয়সা পিকনিকের নামে লুট করেন। কখনও কখনও আমাদের দিয়ে জোরপূর্বক দরখাস্তে স্বাক্ষর করিয়ে থাকেন। তিনি প্রবেশপত্র, নম্বর পত্র দেয়ার নাম করে টাকা নিয়ে থাকেন। জানাজানি হলে তিনি আমাদের দিয়ে জোরপূর্বক দরখাস্ত লিখিয়ে নেন। তিনি আমাদের কারণে-অকারণে আমাদের মারপিট করে থাকেন। তিনি আমাদের মাসে মাসে পিকনিকের জন্য জোর করে থাকেন, না করলে আমাদের জরিমনা করেন। ২০১৬ সালের এসএসসি ভোকেশনাল ৯ম বোর্ড সমাপনী পরীক্ষায় ফর্মপূরণ করতে গেলে রওশন স্যার বাধা সৃষ্টি করে বলেন, ৫’শ টাকা প্রাইভেট পড়ানোর জন্য জমা দিয়ে তারপর ফর্মপূরণ করতে হবে। গণিত বিভাগের ইন্সট্রাক্টর কাজী আবু সাইদ মো. নাজমুস সাদাদ প্রিন্স আমাদের প্রতিনিয়ত ফেল করার ভয় দেখিয়ে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে হুমকি-ধামকি দেন। অটো বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর কবির সাজ্জাদ মামুন স্যারের মেয়ে ২০১৬ সালে চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণি ভর্তি হয়। ফার্ম ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর আব্দুর রহমান ব্যবহারিক খাতার পরিবর্তে আমাদের নিকট থেকে টাকা ও ল্যাবের মালামাল হারিয়ে গিয়েছে বলে ৫০ টাকা করে নেন।