চুয়াডাঙ্গা জেলা ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিসভায় বিএনপি কার্যালয়ে জামায়াত ও মুসলিমলীগ

আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়কের নাম প্রস্তাব হলেও হট্টগোলে মূলতবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এ উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের প্রস্তাব উত্থাপন হলেও শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হয়নি। মতবিরোধের মধ্যদিয়ে প্রস্তুতিসভা মূলতবি ঘোষণা করা হয় বলে সভায় উপস্থিত এক সূত্র জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গতকাল বিকেল চারটায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. মোজাম্মেল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা জাতীয়তাবাদী কৃযষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনোয়ারুল হক মালিক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন, মুসলিমলীগের কেন্দ্রীয় মহাসচিব নবী চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফ, মুসলিমলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠিনক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মজু, জেলা এপিপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান।

সভায় ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের মাধ্যমে আগামীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের প্রহসনমূলক পদক্ষেপ প্রতিহত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এক পর্যায়ে আহ্বায়ক কে হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আহ্বায়ক হিসেবে শামসুজ্জামান দুদুর নাম প্রস্তাবনায় উঠে আসে। জেলা বিএনপির সভাপতিই আহ্বায়ক হবেন বলে দাবি উত্থাপন হয়। বয়স বিবেচনায় তা নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে শামসুজ্জামান দুদুকেই মেনে নিতে রাজি হন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে জামায়াতের তরফে রুহুল আমিনের নাম প্রস্তাবিত হয়। তা নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে শামসুজ্জামান দুদুর ঢাকায় বেশি সময় অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম প্রসঙ্গ উঠে আসে। বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল এ প্রসঙ্গে জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করায় শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত রূপ পায়নি বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত একাধিকসূত্র। পরে এম জেনারেলকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কড়া কথা বলেন বলেও জানা গেছে। অবশ্য গতরাতে বেশ কয়েক দফা এম জেনারেল ইসলামের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।