চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদের জামিনে মুক্তিলাভ

 

জেলা বিএনপির উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলহাজত থেকে মুক্ত হলে তিনি জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য এমএ তালহার নেতৃত্বে মঞ্জুরুল জাহিদকে জেলগেট থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হন।

এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছালে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়া হয়। জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আসম আব্দুর রউফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা, জেলা ওলামা দলের সভপতি ফজলুর রহমান, জেলা জাসাস সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, যুবদল নেতা ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার মুকুল, মামুন রেজা সবুজ, তৌফিকুজ্জামান তৌফিকসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা বলেন, মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে ছাত্রনেতাদের মনোবল নষ্ট করা কখনই সম্ভব হবে না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রসমাজ বিগত দিনে যেভাবে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে আগামী দিনেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করার দাবি আদায় করবে। ছাত্রসমাজের ওপর মামলা, হামলা ও নির্যাতন যতটা বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যতে ছাত্র আন্দোলন ততটাই বেগবান হবে।

উল্লেখ্য যে, গত ১০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে বিকেলে জীবননগর থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা ফেরার পথে দর্শনা থেকে পুলিশ মঞ্জুরুল জাহিদকে বিনা অভিযোগে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে বেআইনী জনতাবদ্ধ, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধাদান, ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙচুর এবং হুকুম দেয়ার অপরাধে অভিযুক্ত করে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই বিএম আফজাল হোসেন একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন। অবশেষে মিথ্যা মামলায় তিনি এক মাসের অধিক সময় কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। একই মামলায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সাইফুল ইসলামও গতকাল জামিনে মুক্তি লাভ করেন।