চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের কমিটির বাতিলের দাবি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা : টাকার বিনিময়ে করা অবৈধ কমিটি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের কমিটির বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দাবি জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগেরর যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আরশাদ আলী চন্দন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু,  যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের, রেজাউল করিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আসমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস রাসেদুজ্জামান বাকি, দামুরহুদা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. আবু তালেব, লালা, হাফু, আরিফ, হকি, মাসুম, লোটাস, পীরু, টিপু, কাবা, দুরদ, টুটুল, খোকা, মিন্টু, লোকমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগে সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, স্বপন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুল, রিমন, ফিরোজ, আব্দুর রহমান, ইমরান, লুসন, রাজু, রাসেল, খালিদ, রিগান, রানা, শিমুল লস্কর, জুয়েল, মন্টা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে কৃষকলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে। ২য় অধিবেশন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন কৃষকলীগের উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের অতীত খতিয়ান সিএস ও আরএস পর্যালোচনা করে কমিটির নাম ঘোষণা করবো এই মঞ্চে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল অধিবেশনে তৃণমূলের মতামতকে উপক্ষা করে অভিনব কায়দায় অভিনয় করে বলেন আমরা দুপরের খাওয়ার পর মঞ্চে এসে কমিটি ঘোষণা করবো। চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে দুপরের খাওয়ার পর কাউন্সিল অধিবেশনে না এসে কমিটি ঘোষণা না করে ঢাকায় চলে যান তারা। গত বুধবার বিকেলে ঢাকায় বসে টাকার বিনিময়ে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খন্দকার শামসুল হক রেজা অশালীন আচরণ করেন ওই কয়েকজন সদস্যকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। বক্তরা বলেন, কমিটি স্বাক্ষর করার আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হকের কাছে কেন্দ্রীয় নেতা ১০ লাখ টাকা দাবি করে বলেন, আপনি যদি সভাপতি হতে চান তাহলে টাকা পৌঁছিয়ে দেবেন। আপনি আজিজুল আবার সভাপতি হবেন এবং বিভিন্ন মারফতে সাধারণ সম্পাদক প্রাথী চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রসিদের কাছেও টাকা চাওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যাদেরকে দেয়া হয়েছে তারা গত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং সর্বশেষ জেলা পরিষদ আওয়ামী লীগের প্রাথী নৌকার প্রাথী শেখ হাসিনার প্রাথী বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। নৌকা প্রতীকে যেসব নেতাকর্মীরা ভোট করেছেন তাদেরকে অত্যাচার করেছেন সেই সব বিদ্রোহী নেতা যাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদেরকেই আবার টাকার বিনিময়ে কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করছেন। কৃষকলীগের রাতের আঁধারে টাকার বিনিময়ের অবৈধ কমিটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানানো হয়।