চুয়াডাঙ্গায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দ দু হাজার কম্বল এসেছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের অন্যতম শীত প্রধান এলাকা চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দু হাজার ৮৪টি কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে আসা ট্রাক থেকে কম্বলগুলো জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ে নামিয়ে রাখা হয়। তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে চাহিদা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো তার সামান্য পরিমাণ শীতবস্ত্র এসে পৌঁছায়। শীত মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সচেতনমহল।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীত বেশি অনুভূত হয়। ইতোমধ্যে শীতের দেখা মিলেছে। সেকারণে হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের মাধ্যমে ঢাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরকে সম্প্রতি শীতবস্ত্র চেয়ে একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। চাহিদার মধ্যে ছিলো, পাঁচ হাজার পিস কম্বল, লুঙ্গি, শাড়ি ও শিশুদের পোশাক। চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ দু হাজার ৮৪টি কম্বল সরবরাহ করেছেন।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক জানান, জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে চেম্বারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, বিত্তশালীদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত।

চুয়াডাঙ্গা সবুজপাড়ার বাসিন্দা সাংবাদিক-প্রাবন্ধিক মফিজ ইমাম মিলন জানান, এ বছরের শীতের প্রভাব আগে-ভাগেই শুরু হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেববকমূলক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ করে এনজিওগুলোর এগিয়ে আসা দরকার।

চুয়াডাঙ্গার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ জানান, শীতের কথা বিবেচনা করে ঢাকা থেকে দু হাজার ৮৪টি কম্বল এসেছে। তবে চাহিদা ছিলো আরো বেশি। শীত বেশি পড়লে এ কম্বলগুলো বিতরণ করা হবে।