চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার: ‘উচ্চ শিক্ষার আলোকে দেশ ও জাতিকে গড়ে তোলো’ এ স্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনে পালিত হলো ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পদার্পণ করল ৬ষ্ঠ বর্ষে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্সিটি ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিলো বর্ণিল সাজে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবির মেখে মেতে ওঠে আনন্দে উল্লাসে। সবাই সবাইকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত ছিলো স্ব স্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ব্যান্ডপার্টির বাজনা যোগ করে বাড়তি আনন্দ।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। জাতীয় পতাকা এবং ভার্সিটির নিজস্ব পতাকা জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর আবদুল মোত্তালিব ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইমরোজ মুহাম্মদ শোয়েব। সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। র‌্যালিটি শহর ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর আবদুল মোত্তালিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্টার ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ইমরোজ মুহাম্মদ শোয়েব, সহকারি রেজিস্টার নাফিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার শান্ত, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মহবুব আলম, ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার আমিরুল ইসলাম জয়, লেকচারার নাজমুল হক, উম্মে তোহফা, কৃষি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নাহিদ, সোসিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার বেগম, ট্রিপল ই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আরিফুল ইসলাম, সহকারি হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সঞ্জীত কুমারসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গাসহ এর আশপাশের এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জ্ঞান ও বিদ্যাচর্চার খ্যাতিতে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শিক্ষাদান, বিদ্যাচর্চা এবং ছাত্র-শিক্ষকদের জ্ঞান-গবেষণা আর পা-িত্যের খ্যাতি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।