চুয়াডাঙ্গায় বোরকা পরে আদালতে হাজিরা দিতে এসে বাদী কোর্টহাজতে : পরে মুক্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বোরকা পরে হাজিরা দিতে এসে কোর্ট হাজতবাস করলেন হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হারুন অর রশিদ সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই দায়ের করা একটি মামলায় চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আসামি রোজিনা খাতুন ও তার শ্বশুর সিরাজ মিয়া জামিনের জন্য আসেন। এ সময় মামলার বাদী রোজিনার স্বামী হারুন অর রশিদ বোরকা পড়ে কাঠগড়ায় উঠলে আদালতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান আলী বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের বিচারককে অবগত করেন। বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মাহমুদুল হক বাদী হারুন রশিদকে বোরকা পরে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর কারণে কোর্টহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হারুন অর রশিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান দাবি করেন, হারুন অর রশিদ সৌদি আরবে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্ত্রী রোজিনা খাতুন স্বামীর পাঠানো ১৭ লাখ টাকা শ্বশুর সিরাজ মিয়ার সাথে যোগসাজশ করে আত্মসাত করেন। এছাড়া শ্বশুরের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে চার মাসের ভ্রুণ নষ্ট করে। ওই ঘটনায় হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে রোজিনা খাতুন ও সিরাজ মিয়াকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রোজিনা এবং শ্বশুর সিরাজ মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক থেকে আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদলত তা মঞ্জুর করেন।