চুয়াডাঙ্গায় ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভা ও জেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ বিষয়ে মতবিনিময়

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন বিষয়ক প্রস্তুতিমূলকসভা ও জেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ বিষয়ে পৃথক মতবিনিময়সভাসহ নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন বিষয়ক প্রশিক্ষণ পরবর্তী ক্যাসকেডিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন বিষয়ক প্রস্তুতিমূলকসভা ও জেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ বিষয়ে পৃথক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রসাদ পাল, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলক কুমার মণ্ডল, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, মুসফিকুল আলম হালিম, রুহুল আমিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় জানানো হয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। যেখানে শিশুদের বিনোদনের সাথে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। যা টেকসই উন্নয়নে সহায়ক। ডে কেয়ার সেন্টারে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেয়াসহ নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার ভিক্ষুকদের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ১ হাজার ৯৪৪ জন ভিক্ষুক অন্তর্ভুক্ত আছেন। তবে, সঠিক যাচাই বাছাই করলে এর সংখ্যা অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেন উপস্থিতিরা। সে লক্ষে পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত সরকারি কর্মকর্তাদের কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ভিক্ষুকরা যেনো আত্মনির্ভরশীল হতে পারে তার ব্যবস্থা ও তাদের পুনর্বাসন করাসহ ভিক্ষাবৃত্তি প্রশমনে বিস্তারিত আলোচনা করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন বিষয়ক প্রশিক্ষণ পরবর্তী ক্যাসকেডিং কর্মশালায় সরকারি দফতরের সেবাগুলোকে আরও সহজতর করাসহ কার্যক্রমগুলো যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করার আহ্বান জানানো হয়।