চুয়াডাঙ্গায় ডিজেলচালিত থ্রি হুইলার চলাচলে বাধা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ডিজেলচালিত অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) চলাচলে একের পর এক বাধা প্রদানের কারণে এর মালিক ও চালকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একই কারণে অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর বিক্রেতারাও হাত গুঁটিয়ে বসে আছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অটোরিকশামালিক, চালক ও এর বিক্রেতারা এজন্য চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা, পুলিশের পক্ষপাতিত্ব ও বাসমালিক সমিতির কিছু নেতার খবরদারিকে দায়ী করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা থ্রি হুইলার অটো-টেম্পু মালিক সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারদের কথা বিবেচনা করে ডিজেলচালিত অটোরিকশা চলাচলকে বৈধ ঘোষণা করে এর রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট দিয়েছে। এতে সারাদেশের অসংখ্য বেকার যুবক-তরুণরা ডিজেলচালিত অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) চালিয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়ে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন। দেশের অন্যান্য স্থানের যুবকদের সচ্ছলতা দেখে চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় দেড় শতাধিক যুবক জমি বিক্রি করে বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ডিজেলচালিত অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) কেনেন। কিন্তু কেনার শুরু থেকেই বিগত এক বছর ধরে নানাভাবে এসব চলাচলে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বাসমালিক সমিতির এক শ্রেণির শ্রমিকদের দিয়ে যেমন যাত্রী চলাচলে বাঁধা দিচ্ছেন, আবার পুলিশকে ব্যবহার করে হয়রানি করছে। সারাদেশের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট দিলেও চুয়াডাঙ্গায় তা পেতে অনেক দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ১৬০টি ডিজেলচালিত অটোরিকশার (থ্রি হুইলার) মধ্যে বিআরটিএ এ পর্যন্ত নয়টিকে রেজিস্ট্রেশন দিলেও অজ্ঞাত কারণে রুট পারমিট দিচ্ছে না। বিআরটিএ’র এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাদেরকে জানাচ্ছেন, রুট পারমিটে জীবননগর সড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে। এখানে বাস চুয়াডাঙ্গা শহরের মধ্যে প্রবেশ করলেও ডিজেলচালিত অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) প্রবেশে অবৈধভাবে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। অথচ অবৈধ যানবাহন আলমসাধু, নসিমন, করিমন, লাটাহাম্বার, পাউয়ারট্রিলার অবাধে চলাচল এবং যাত্রীবহন ও মালামাল বহন করলেও সেদিকে কারো নজর নেই। এ সমস্ত অবৈধ যানবাহনে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি এবং হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববহন করলেও ওইসব অবৈধযান বন্ধে বাসমালিক সমিতি বা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা থ্রি হুইলার অটো-টেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন বলেন, আমরা  সারাদেশের মতো নিয়ম মেনেই রুট পারমিট নিয়ে চলাচল করতে চাই। বৈধ যান হিসেবে জেলার সর্বত্রই চলাচলের সুযোগ চাই। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি চাই। তিনি আরো বলেন, যদি থ্রি হুইলার অটো-টেম্পু মালিক সমিতির এ দাবি মানা না হয়; তাহলে আগামীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।