চুয়াডাঙ্গায় কৃষিঋণ বিতরণ ও আদায় বিষয়ে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষিঋণ বিতরণ ও আদায় বিষয়ে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফসলে ঋণ দিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের, সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক আমির হোসেন, কৃষি ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কমলেশ চন্দ্র সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, জনতা ব্যাংকের এজিএম বীরেন্দ্র চন্দ্র তপাদার, ভারপ্রাপ্ত জেলা সমবায় কর্মকর্তা মনজুর কাদের, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক দয়াল চন্দ্র সরকার, বিআরডিবির উপপরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, উত্তরা ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কোহিনুর ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমানসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গত ডিসেম্বর মাসের ব্যাংকের বিতরণের বিষয়ে জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গার ১৫টি ব্যাংক ফসলঋণ, ডাল-তেল-ভুট্টো ও মসলা, ডেইরি, মৎস্যচাষ, কৃষিজাত পণ্যের বাজারজাতকরণ, দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি ও অন্যান্য কৃষিঋণে বিতরণের হার প্রায় ১২ দশমিক ৫১ ভাগ। অবিতরণকৃত টাকার হার ৮৭ দশমিক ৪৯ ভাগ। ১৫টি ব্যাংকে মোট বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ বিতরণ হয়েছে মাত্র ১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে- রূপালী ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ইউসিবিএল, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কোনো ফসলের ঋণ বিতরণ করেনি।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, কৃষি নির্ভর চুয়াডাঙ্গায় যে সকল ব্যাংক রয়েছে তাদেরকে শতকরা ৪ ভাগ সুদে ডাল-তেলবীজ মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টো চাষে টাকা বরাদ্দ ও ঋণ বিতরণ করতে হবে।