চুয়াডাঙ্গায় ইমপ্রুভমেন্ট পাবলিক সার্ভিস থ্রো টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার:  চুয়াডাঙ্গায় ইমপ্রুভমেন্ট পাবলিক সার্ভিস থ্রো টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমি (পিএটিসি) ও জেলা প্রশাসন চুয়াডাঙ্গার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমির অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সেন (এনডিসি)।

জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে সেমিনারে কী নোট উপস্থাপন করেন পিএটিসির উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিএটিসির উপরিচালক রাজীবুল হোসেন, জেলার সিভিল সার্জন রওশন আরা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে, পরিসংখ্যান ব্যুারোর উপপরিচালক আতিকুর রহমান চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জেডএম দেলোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান তালুকদারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি রঞ্জিত কুমার সেন বলেন, অসুন্দরকে দূরে সরিয়ে সুন্দর প্রতিষ্ঠা করায় এই প্রকল্পের লক্ষ্য। সেবার মান উন্নত হলে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে যাবে। এজন্য সকলকে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা নিজের সন্তান ও পরিবারকে যেভাবে ভাবি সেভাবে যেখানে কাজ করি সেটাকে ভাবতে হবে। সেবা পরিশোধ করা নৈতিক দায়িত্ব। যা রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্ধারণ করা আছে। সেবক দু ধরনের। এক যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা জনপ্রতিনিধি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিপদজনক। কারণ তারা ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকরি করেন। আর জনপ্রতিনিধিরা ৫ বছরের জন্য আসেন। ২৯ বিভাগ ৫৬ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। জাইকার সহযোগিতায় জনসেবায় কাইযেন অব্যাহত উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। ৯০ দিন পর কাইযেন সম্মেলন হবে। প্রতিটি সরকারি দফতরকে একটি করে অব্যাহত উন্নয়ন উপস্থাপন করতে হবে সেই সম্মেলনে।