চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারসহ ১৬টি হাট বাজারে যানজট

প্রশাসনের নজরদারির দাবি এলাকাবাসীর

 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলোর ওপরে সাপ্তাহিক হাট-বাজার বসানোতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও জনদুর্ভোগের সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বাড়ছে।

সচেতন মহলের মন্তব্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরদারি না থাকা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উদাসীনতার কারণে জেলার সড়কগুলো সাপ্তাহিক হাটে পরিণত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার সড়কগুলোর ওপরে ১৬টি স্থানে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও পশু বিক্রির সাপ্তাহিক হাট-বাজার বসানো হয়। এছাড়া মহাসড়কের জায়গা দখল করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ-ঢাকা মহাসড়কের ডিঙ্গেদহ হাটখোলা, সরোজগঞ্জ, নয়মাইল ও বদরগঞ্জে সাপ্তাহিক হাট বসানো হচ্ছে। অনুরুপভাবে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া, ভালাইপুর ও কুলপালায় হাট বসে। এছাড়া রুইথনপুর, আসমানখালী, হাটবোয়ালিয়া, হারদী, মুন্সীগঞ্জ পশুহাট, জেহালা ও আলমডাঙ্গায় এসব হাট বসে। চুয়াডাঙ্গা-কালিগঞ্জ সড়কের দামুড়হুদা, ডুগডুগি, শিয়ালমারী, পেয়ারাতলা, জীবননগর, হাসাদহ, দামুড়হুদা উপজেলার চন্ডিপুর, কুড়ুলগাছি, কার্পাসডাঙ্গা ,চন্দ্রবাস, জগন্নাথপুর ও গোবিন্দহুদায় সড়কের ওপর সাপ্তাহিক হাট বসানো হচ্ছে। উল্লেখিত সড়কে হাট বসানোর ফলে এ যাবত বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রাণহানিও হয়েছে অনেক। তারপরও সড়কের ওপর হাট বসানো বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। এ ব্যাপারে সরোজগঞ্জ বাজার সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ বাজারে যানজটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যানজট নিরসনে লোকবল নিয়োগ রয়েছে। যদি তারা ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে বাজার কমিটির সাথে আলোচনা করে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।