চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নে মতবিনিময়সভায় অনুষ্ঠিত

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি:  বাল্যবিয়ে সামাজিক ব্যাধি। এর ফলে দেশে নারী শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নারী নির্যাতন, বহু বিয়ে, তালাক, মা ও শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ও জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় যেকোনো মুল্যে বাল্যবিয়ে শূন্যের কোঠায় আনা হবে। এজন্য এক সপ্তাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। এলাকায় বাল্যবিয়ের সংবাদ পেলে প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা অভিভাবকদের বোঝাবেন, না হলে প্রশাসনের নিকট সংবাদ দেবেন। এরপরও যদি বাল্যবিয়ে হয় তবে এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত এলাকা। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলায় মাদকদ্রব্য সেবনের প্রবণতা বেশি। আমাদের এলাকার মানুষেরা সন্ধ্যার সময় হাঁস-মুরগি বাড়িতে না ফিরলে আলো জ্বালিয়ে খুঁজে বেড়ায়; কিন্তু নিজের সন্তান সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে কোনো খোঁজ রাখে না। যে সন্তানটি আগামী দিনের সম্পদ অভিভাবকদের অসচেতনতার জন্য মাদকাসক্তের ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন আর কিছুই করার থাকে না। এজন্য নিজেদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবদের প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, মাদক প্রতিরোধ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, জনকর্মসংস্থানের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান, মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি সচীব জিয়াউর রহমান জিয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন পাস’র পরিচালক কাতব আলী, ইউপি সদস্য শওকত আলী, রোজিনা খাতুন, ঠাণ্ডু, জিল্লুর, কাজী স্বাধীনসহ শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন পেশার মানুষ।