চুয়াডাঙ্গার মর্তুজাপুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী প্রেমের টানে উধাও

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মর্তুজাপুর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী সালমা কুষ্টিয়া ঝাউদিয়া গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। গত শুক্রবার কুষ্টিয়া ঝাউদিয়া মসজিদে মানত দিতে গিয়ে তিনি প্রেমের টানে অজানার উদ্দেশে পাড়ি দেন।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, চুুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মর্তুজাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের আলমসাধু চালক রজব আলির মেয়ে সালমার সাথে একই পাড়ার বিলাত মণ্ডলের ছেলে প্রবাসী রাহাজুল ইসলাম প্রেম করে পরিবারের অজান্তেই বিয়ে করে। বিয়ের পর রাহাজুল তার স্ত্রীকে পিতার বাড়ি রেখে প্রবাসে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে রাহাজুল প্রবাসে থাকার সুযোগে সে মোবাইলফোনে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর মালিপাড়ার সোহেল রানা নামের এক যুবকের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে গত বছর ৯ অক্টোবর প্রবাসীর স্ত্রী তার শয়ন কক্ষে সোহেল রানার সাথে অপত্তিকর অবস্থায় স্বামীপক্ষের লোকজনের হাতে তারা ধরা পড়ে। সেই সময়ে গ্রামবাসী সোহেল রানাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে দেয়। পরে প্রবাসে থাকা রাহাজুল তার পিতা-মাতার কথা অমান্য করে স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিয়ে নতুন করে সংসার করার জন্য তাকে আবারও বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর গত শুক্রবার সকালের দিকে প্রবাসীর স্ত্রী মানত খাওয়ার জন্য কুষ্টিয়া ঝাউদিয়া মসজিদে যায়। সেখানে দেখা হয় তার প্রেমিক হরিণাকুণ্ডুর মালিপাড়া গ্রামের সোহেল রানার সাথে। সেখান থেকে সোহেল রানার মোটরসাইকেলযোগে প্রবাসীর স্ত্রী সালমা উধাও হয়ে যায়। এমন ঘটনা মর্তুজাপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউপি ও গ্রামের মেম্বার ইলাহী মোল্লা তিনি সাংবাদিকের কাছে কিছুই জানে না বললেও রাহাজুলের পিতা বিলাতসহ গ্রামের অনেকই এ ঘটনার সত্যতা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ১০ অক্টোবর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘চুয়াডাঙ্গার মর্তুজাপুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে সোহেল নামের এক যুবক গ্যাঁড়াকলে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।