চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১%এর টাকা আত্মসাৎসহ ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিকারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, ইউপি সচিব শাজাহান আলী ও সংরক্ষিত ১,২,৩ এর সদস্য মুসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ১%এর টাকা আত্মসাৎ, গ্রাম আদালত গঠনে অনিয়ম, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকাল ভাতা ও কৃষি উপকরণের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত পরশু রোববার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৬জন মেম্বর ও এলাকার ৮জন গণ্যমান্য ব্যক্তি এসে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগপত্রটি প্রদান করেন। অভিযোগে জানা যায় পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস ও ইউপি সচিব পরিকল্পিতভাবে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ১% এর টাকার প্রকল্প ইউপি’র সভার মাধ্যমে কোনো প্রকল্প না নিয়ে পুর্বের সভায় গোপনে প্রকল্প দেখিয়ে গোপনে ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ হিসাব থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের টাকার কোনো কাজ না করে সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। ইউপি’র মাসিক সভার রেজুলেশন পড়ে শোনানো হয়না এবং রেজুলেশন খাতা কাউকে দেখানে হয় না। প্রকল্প গ্রহণের সময় ইউপি সদস্যদের কোনো মতামত নেয়া হয় না। প্রকল্পের বরাদ্দ পত্র দেখতে চাইলে সচিব শাজাহান বলেন কোনো চিঠি নেই, উপজেলা থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস দম্ভ করে বলেন, উপজেলা থেকে বরাদ্দ আমাকে দেয়া হয়েছে আমি যাকে খুশি তাকে দেবো। এছাড়া ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও কৃষি উপকরণ প্রদানের সময় কোনো মিটিং করা হয় না। চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজেদের লোককে প্রদান করে থাকেন। ফলে বাদ পড়ে যায় এলাকার হতদরিদ্র মানুষেরা। অপর দিকে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৪০দিনের কর্মসসৃজন কর্মসূচীর (ইজিপিপি)’র মাধ্যমে ধুতুরহাট শ্মশান ঘাট হতে জিকে ক্যানাল পর্যন্ত সংষ্কার ও রাস্তায় প্যালাসাইড নির্মাণের বরাদ্দকৃত টাকার কোনো কাজ না করেই প্রকল্প চেয়ারম্যান ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর, ইউপি সচিব শাজাহান আলি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছে, উন্নয়নের জন্য সরকারের দেয়া টাকা কি সব চেয়ারম্যান ও নেতা গোতারা খেয়ে ফেলে? বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পদ্মবিলা ইউনিয়নের ৬জন ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিগণ।