চুয়াডাঙ্গার ছয়ঘরিয়া স: প্রা: বিদ্যালয়ে দপ্তরি কামনৈশপ্রহরী পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

 

স্টাফরিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে স্কুলে না পড়েও সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন আব্দুল্লাওরফে পুটিক। সভাপতি আর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোটা অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ নিশ্চিত করার অভিযোগ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পেশ করায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে অভিযুক্তরা এরকমই জনশ্রুতি রয়েছে।

সূত্রে জানাগেছে, সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন পদ সৃষ্টি করে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক একজন করে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৪ মে। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি সামসুল আলম ও প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে স্কুলে না পড়া অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে গ্রামের রাহাতুল্লা ওরফে রাতুলের ছেলে আব্দুল্লা ওরফে পুটিককে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে।তার ছেলে এবছর পাস করেছে এসএসসি। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, আব্দুল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যন্ত পড়েনি। অথচ টাকার বিনিময়ে অস্টম শ্রেণি পাসের সাটিফিকেট ম্যানেজ করে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। তাই ২৪ মে চুয়াডাঙ্গা এম.এ বারী স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ২ জুন ডিঙ্গেদহ বাজারে বসে নির্ধারণ করেছেন পরীক্ষার ফলাফল। কারণ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার পরপরই ফলাফল জানিয়ে দেবার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ নিয়োগপ্রত্যাশী অন্যদের।