চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামে ছেলের প্রতারণায় ফাঁদে পড়লেন পিতা

 

দু বিঘার স্থলে লিখে নিলো সাড়ে ১৭ বিঘা জমি : ছেলের বিরুদ্ধে পিতার মামলা

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামে পিতার সাথে প্রতারণা করলো ছেলে মুনজুর। বৃদ্ধ পিতার সরলতার সুযোগ নিয়ে দু বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করার বদলে ভিটে-বাড়িসহ সাড়ে ১৭ বিঘা জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মুনজুরের বিরুদ্ধে। ছেলের প্রতারণার স্বীকারে দিশেহারা পিতা হাজি জালাল উদ্দিন বাধ্য হয়েই ছেলে বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করলেন মামলা। জমি ফেরতের দাবিতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী পূর্বপাড়ার হাজি জালাল উদ্দিন ৩ ছেলে ও ৬ মেয়ের জনক। ছেলেমেয়ের মধ্যে মুনজুর আহম্মেদ সকলের বড়। মুনজুর আহম্মেদ সম্প্রতি পিতা হাজি জালাল উদ্দিনকে নিজের বাড়ি হিজলগাড়ি ভাড়া বাড়িতে এনে রাখেন। পিতাকে আদর যত্নে মুগ্ধ করে দু বিঘা জমি দাবি করেন মুনজুর। ছেলের আবদারে পিতা দু বিঘা জমি দিতে রাজি হন পিতা। সব ছেলেমেয়ের অজান্তে গত বছরের দু অক্টোবর ছেলের সাথে চুয়াডাঙ্গা রেজিস্ট্রি অফিসে যান পিতা। পিতার সরলতার সুযোগে আগে-ভাগে ভিটে-বাড়িসহ সাড়ে ১৭ বিঘা জমির দলিল তৈরি করে রাখেন কৌশলী ছেলে মুনজুর আহম্মেদ। হাজি জালাল উদ্দিন না বুঝেই ছেলের তৈরি দলিলে স্বাক্ষর করে দেন। চলতি বছরের ২০ মে ছেলেমেয়েরা জমিজমা ভাগ বাটোয়ারার জন্য পিতার কাছে দাবি করা হলে ফাঁস হয় মুনজুরের প্রতারণা বিষয়টি। পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় দু বিঘার স্থলে সাড়ে ১৭ বিঘা জমি প্রতারণা করে লিখে নিয়েছেন মুনজুর আহম্মেদ। ঘটনা জানাজানি হলে মুনজুরের কাছে জমি ফেরতের দাবি করা হলে বেকে বসে মুনজুর। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে গতপরশু বৃহস্পতিবার হাজি জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে মুনজুরের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ইতঃপূর্বেও মুনজুর এ ধরনের প্রতারণা করে পিতার অনেক জমিজমা ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই হাজি জালাল উদ্দিনকে ছেলে মুনজুর আহম্মেদ ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেজ ছেলে মোমিন। এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মুনজুর আহম্মেদ বলেছেন, আমার পিতা স্ব-ইচ্ছাতেই সাড়ে ১৭ বিঘা জমি লিখে দিয়েছেন। পিতা হাজি জালাল উদ্দিনকে আটকে রাখা নয়, বরং স্বেচ্ছায় তিনি আমার কাছে রয়েছেন।