চুয়াডাঙ্গার আড়িয়া গ্রামে পুলিশ ভেবে চোরাকারবারীদের ফেনসিডিল ফেলে গোয়ালঘরে আশ্রয়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের আড়িয়া গ্রামে মোটরসাইকেলের আলো দেখে পুলিশ ভেবে ফেনসিডিল ফেলে পাচারকারীরা গোয়ারঘরে আশ্রয় নেয়। গ্রামবাসী তাদেরকে চোর ভেবে দিয়েছে উত্তম-মধ্যম। গ্রামের কথিত দু মাতবর সুযোগ বুঝে ৪ বস্তা ফেনসিডিল গায়েব করে দিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের ৭/৮ জন ফেনসিডিল চোরাকারবারী ফেনসিডির বহন করে সরোজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় তারা তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের মধ্যে পৌঁছুলে মোটরসাইকেলের আলো দেখে পুলিশ ভেবে ফেনসিডিল ফেলে গ্রামের রবজেলের গোয়ালঘরে আশ্রয় নেয়। বাড়ির মালিক চোর ভেবে চিৎকার দিলে গ্রতিবেশীরা ছুটে এসে দুজন চোরাকারবারীকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিতে থাকে। এ সময় চোরাকারবারীরা ফেনসিডিল পাচারকারী বলে গ্রামবাসীর নিকট পরিচয় দেয়। পরে গ্রামবাসী আটকৃতদের ফেনসিডিলসহ ছেড়ে দেয়।

অভিযোগ উঠেছে, সুযোগ বুঝে লোকজনের ভিড়ে ৪ বস্তা ফেনসিডিল গ্রামের জনৈক আলোচিত দু মাতবর নাকি ভাগিয়ে নিয়েছে? বিষয়টি নিয়ে আড়িয়া গ্রামে চলছে নানামুখি কানাঘুষা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে সচেতন গ্রামবাসী। এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই ওয়ারিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।