চুরি ডাকাতি আর মহিলাদের সম্ভ্রমহানি থেকে নিষ্কৃতি পেতে গ্রামে জনশূন্য হওয়ার দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ফিরেছে ঝিনাইদহের দুটি গ্রামে ৬টি পরিবার

মনজুর আলম: ঘন ঘন চুরি, ডাকাতি আর মহিলাদের সম্ভ্রমহানি থেকে নিষ্কৃতি পেতে এক সময় গ্রামের জনশূন্য হয়ে পড়ে। বসবাসের জায়গা ফসলি জমি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। জেলার সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বামনপাড়া পদ্মবিলায় দুটি পরিবার আর বশিপুর গ্রামে চারটি পরিবার ফিরেছে। দীর্ঘ ৪৩ বছর পর বশিপুর গ্রামে ৪টি পরিবার কয়েক বছর হলেও বামনপাড়া পদ্মবিলা গ্রামে দুটি পরিবারের সদস্যরা বসবাস করার জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করছেন। কথা হয় বামনপাড়া পদ্মবিলা গ্রামের রবিউল ও সামসুল ইসলামের সাথে। তারা জানান, পূর্বে পাশের মহামায়া গ্রামে বসবাস করতাম। গত ৬ মাস ধরে বাসবাসের জন্য বাড়িঘর তৈরি করছি। আর বসিপুর গ্রাম তারাচাঁদ মণ্ডল, নজরুল ইসলাম, আব্দুল রাজ্জাক, সাইদুল ইসলাম নামের ৪টি পরিবার গত কয়েক বছর বসবাস করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বে গ্রাম দুটিতে বসবাসকারীদের সকলেই প্রায় ঘোষ আর বাগদি সম্প্রদায়ের ছিলো। ভারতবর্ষ ভাগের সময় অর্থাৎ ১৯৬৫ সালের দিকে তাদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। এ সময় বসবাসকারীর অধিকাংশই ভারতে চলে যান। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর যে ক’টি পরিবার ছিলো তারাও এ সকল ঘটনা থেকে নিষ্কৃতি পেতে অন্যত্রে বসবাস শুরু করেন। আবারও গ্রাম দুটিতে ৬টি পরিবার বসাবাস শুরু করেছে। স্থানীয় মেম্বার আব্দুল আজিজ এবং ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান তহুরুল ইসলাম একইভাবে বলেন, আমরা শুনেছি নান সমস্যার কারণে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। যা আমরাও দেখেছি স্থানটিতে চাষাবাদ করতে। গ্রাম দুটিতে আবার লোকজন বসবাস শুরু করেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, যে সমস্যার কথাগুলো আপনাদের নিকট থেকে শুনছি। এখন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে কেউ আর পার পাবে না। কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।