চলে গেলেন রেশমা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জনপ্রিয় পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী রেশমা আর নেই। গতকাল রোববার সকালে পাকিস্তানের লাহোরের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। প্রায় এক মাস যাবত কোমায় ছিলেন দামাদাম মাস্ত কালান্দার, হায় ও রাব্বা নাহিয়ো লাগদা দিল মেরা, লাম্বি জুদাই- খ্যাত ওই গায়িকা।

আশির দশকের শুরুর দিকেই কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন রেশমা। তখন থেকেই ক্রমাগত স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে তার। পরবর্তীতে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ দায়িত্ব নিয়েছিলেন তার চিকিৎসার; দেশটির বর্তমান সরকারও নিয়মিত বহন করে আসছিলো তার চিকিৎসা ব্যয়ভার। পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা লোকসঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে রেশমা একজন। জীবদ্দশায় দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব সিতারা-ই-ইমতিয়াজ অর্জন করেছিলেন তিনি। ষাটের দশকে পাকিস্তানি টেলিভিশনে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। আশির দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। রেশমার জন্ম ব্রিটিশ ভারতের বিকানের শহরে, যা এখন ভারতের রাজস্থানে অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় তার পরিবার করাচিতে চলে আসে। রেশমার বয়স যখন বারো বছর, তখন উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি সাধক শাহবাজ কালান্দারের দরবারে তাকে গান গাইতে শুনেন এক টেলিভিশন-রেডিও প্রযোজক। এরপর সেই প্রযোজক রেশমাকে দিয়ে রেকর্ড করান ও লাল মেরি গানটি, যা পাকিস্তানি রেডিওতে প্রচারের সাথে সাথেই জনপ্রিয়তা লাভ করে। রেশমার গাওয়া দামাদাম মাস্ত কালান্দার, হায় ও রাব্বা নাহিয়ো লাগদা দিল মেরা, লাম্বি জুদাই- এর মতো গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়।