চট্টগ্রামের লালখান মাদরাসায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

স্টাফ রিপোর্টার: হেফাজত নেতা মুফতি ইজহারের লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত শিবির ক্যাডার ও বোমা তৈরির কারিগর নূরুন্নবী (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নূরুন্নবীর মৃত্যুতে লালখান মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ এ। নূরুন্নবীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক ড. সামন্ত লাল সেন। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. শহীদুল্লাহ জানান, বিস্ফোরণে নূরুন্নবীর শরীরের ৯২ শতাংশ ঝলসে যায়। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর (সোমবার) চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামীর ‍নায়েব আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমা তৈরির সময় ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রশিবির ক্যাডার নূরুন্নবী, মাদর‍াসার ছাত্র হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫) ও জুবায়ের আহমেদসহ (২৪) পাঁচজন আহত হয়। এদের মধ্যে চারজনকে গোপনে চিকিৎসা দিতে নেয়ার সময় আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে একটি ক্লিনিক থেকে আটক করা হয় সালমান ও হাবিবকে। জোবায়ের এবং নূরন্নবীকে আটক করা হয় পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকার সার্জিস্কোপ ক্লিনিক থেকে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তির পর সোমবার গভীর রাতে মারা যান হাবিব। তৃতীয় দিনের মাথায় বুধবার সকালে চমেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জোবায়ের।