গাংনী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড উপনির্বাচন ॥ সাবেক দুই কাউন্সিলরের লড়াই

গাংনী প্রতিনিধি: আগামীকাল সোমবার মেহেরপুর গাংনী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন। সাবেক কাউন্সিলর সামসুদ্দীন শেখ ও মিজানুর রহমান মদনের মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে। জয়-পরাজয়ের হিসেবে নিয়ে প্রার্থীদের সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের লক্ষ্যে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ভোটাররা। সামসুদ্দীন শেখ ডালিম এবং মিজানুর রহমান মদন লড়ছেন উটপাখি প্রতীক নিয়ে। দুজনই সাবেক কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক। বিএনপি সমর্থক দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং অপরজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও ভোটের মাঠের চিত্র ভিন্ন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সামাজিক নানা অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে ভোটে অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দুই প্রার্থীর পক্ষে নেমেছেন বিভিন্ন দল ও গোত্রের লোকজন। সামাজিকতায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতেই তারা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা শেষ মুর্হূতের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এখন অপেক্ষা ব্যালটে সিল দেয়ায়। ভোটের দিনের নানা পরিকল্পনা এবং চূড়ান্ত পরিকল্পনায় বসেছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মীবৃন্দ। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে দরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। এজন্য প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ভোটররা। যেহেতু উপনির্বাচন তাই পেশিশক্তি প্রয়োগ হতে পারে। বহিরাগত লোকজন ভোটে যাতে অবৈধ প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে হবে। এছাড়াও যেকোনো প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং ভোটারদের যাতায়াতের পথ সুগম করতে হবে। অবশ্য ভোটের প্রচারণার শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এতে স্বস্তিতে রয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। দুই প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটারদের সাথে তারাও একমত। জনগণ যে রায় দেবেন তাই মেনে নেবেন প্রার্থীরা। তারাও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার পেশিশক্তি সহ্য করা হবে না। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের যাতায়াতের পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলামের মৃত্যুজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়।