গাংনীর হিজলবাড়ীয়া সড়কের নির্মাণকাজ তদন্ত করলো ঢাকার একটি তদন্ত দল

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালসাদহ-হিজলবাড়ীয়া সড়কের নির্মাণকাজের তদন্ত করেছেন এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। অনিয়মের অভিযোগে গতকাল বুধবার সকালে সরজমিন তদন্ত করা হয়েছে বলে এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে। তবে ঠিকাদার বলেছেন এটি নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ।

মালসাদহ থেকে হিজলবাড়িয়া হয়ে হিন্দা ব্রীজ ও তেঁতুলবাড়িয়া থেকে হাড়াভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের কাজের একটির ঠিকাদার হলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। এলাকার ৩টি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের হস্তান্তরকৃত প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তদারকিতে এ রাস্তা দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

হিজলবাড়িয়া গ্রামের বাশিরুল ইসলাম জানান, রাস্তা নির্মাণের খবরে এলাকাবাসী খুব খুশি হয়েছিলো। কিন্তু নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ হয়। রাস্তাটি কয়েক মাসে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এলাকাবাসীর। হিন্দা গ্রামের শিক্ষক তাহাজ আলী জানান, প্রথমে রাস্তার জন্য ভালো ইট নিয়ে এলেও পরে অজ্ঞাত কারণে ওই ইট তুলে এনে স্থানীয় ইটভাটার রাবিস ও ভাঙ্গা ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে। প্রতিবাদ করলে পেশি শক্তি দেখিয়ে এলাকার মানুষের দাবি পাত্তা দেয়া হয়নি। এতে এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। উপজেলা প্রকৌশলী ও উপ সহকারী প্রকৌশলী কোনো তদারকি করেননি। বিধায় এলাকাবাসী বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন।

তদন্ত দলের প্রধান প্রকৌশলী শামছের আলী জানান, নির্মাণাধীন রাস্তার উপকরণ সংগ্রহ করে ও প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকার পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে তা সমাধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে।

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঠিকাদার এমএ খালেক জানান, রাস্তা নির্মাণে ত্র“টির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সামান্য এদিক ওদিক হতে পারে তা মারাত্মক কিছু না। নিয়মানুযায়ী রাস্তায় যে ইট ছিলো তা দিয়েই কাজ করা হয়েছে। অন্যান্য সামগ্রী কার্যাদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়েছে। এরকম কাজে ঢাকার তদন্ত দল আসে। এটা গুরুতর কিছু নয়, তাদের নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবেই এসেছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *