গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক যুগোপযোগী পর্যটন কেন্দ্র করা হবে ॥ সিনিয়র সহকারী সচিব

গাংনী প্রতিনিধি: ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে একটি যুগপযোগী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল আমিন। গত শনিবার দুপুরে আবুল আমিনের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক এলাকা ঘুরে দেখে দর্শনার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিদর্শনকালে সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল আমিন বলেন, ঐতিহাসিক ভাটপাড়া নীলকুঠি বিলিন হতে চলেছিলো। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে পার্ক করা হয়েছে। এটি অবশ্যই শুভ উদ্যোগ। পার্কটির প্রয়োজনীয় সৌন্দর্য বর্ধন করা হচ্ছে।
ভাটপাড়া নীলকুঠি ডিসি ইকোপার্ক নিয়ে মন্ত্রণালয় গৃহিত পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। যা মন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও দৃষ্টিনন্দন পুকুর, কাজলা নদীর প্রয়োজনীয় সংস্কার, নীলকুঠি সংস্কার, রাস্তা, বাগান, টয়লেটসহ যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়। স্থানীয়ভাবে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এডিবি ও এলজিএসপি বরাদ্দ থেকে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। প্রতি বছর অল্প অল্প করে কাজ করলেই এক সময় পূর্ণাঙ্গ রুপ পাবে। পরিদর্শনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান, পর্যটন করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক খালিদ বিন মজিদ, উপপরিচালক নজরুল ইসলাম, পিআইও অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, বিশিষ্ট সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ, সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক প্রমুখ। এর আগে সকাল দশটার দিকে প্রতিনিধিদল গাংনী ফুঁলকুড়ি স্কুলে পৌঁছুলে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি ও বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গাংনী জনসভায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যা দিয়ে ইকোপার্কের কাজ চলছে। আগামী মাসে মন্ত্রী ইকোপার্কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করতে আসার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে ইউএনও হিসেবে গাংনী উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন আবুল আমিন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, ভ্রাম্যমাণ আদালত, বিরোধ নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন কাজে তিনি এলাকার মানুষের কাছে জায়গা করে নিয়েছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হওয়ায় তিনি প্রথমে গাংনী সফর করেন। তিনি যতোদিন ওই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকবেন ততোদিন গাংনী তথা মেহেরপুর জেলার পর্যটন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন আশা করছে এলাকাবাসী।