গাংনীর বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের নামে আবারও মামলা

গাংনী প্রতিনিধি: অফিস সহকারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মেহেরপুর গাংনীর বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। পোষ্য কৌটায় নিয়োগ বঞ্চিত এক ব্যক্তি মেহেরপুর সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। দীর্ঘদিন চাকরির জন্য ঝুলিয়ে রাখায় মামলার বাদি এখন চরম বিপাকে।

অভিযোগে জানা গেছে, বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যর পরিবারের সদস্য আবু তাহের ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী অবসর গ্রহণ করেন। পরিচালনা পর্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই পদে আবু তাহেরের ছেলে শিক্ষিত বেকার মামুনুর রশিদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরিচালনা পর্যদ সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বার নিয়ামত আলীসহ কয়েকজন সদস্য জোগসাজসে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেন। নিরুপায় হয়ে মামুনুর রশিদ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। এ কারণে নিয়ামত আলী পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারেনি। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তিনামা হয়। মামুনুর রশিদকে অফিস সহকারী পদে গত ৩০ মার্চের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভাপতি নিয়ামত আলীসহ কয়েকজন শিক্ষক ও পরিচালনা পর্যদ সদস্যদের লিখিত সমঝোতায় মামলা তুলে নেন মামুনুর রশিদ।

এদিকে নিয়োগ দেয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতির প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তা কার্যকর হয়নি। মামুনুর রশিদকে নিয়োগ না দিয়ে আক্তারুজ্জামান সেন্টু নামের একজনকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছেন নিয়ামত আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন। ভুক্তভোগী মামুনুর রশিদ জানান, সভাপতি নিয়ামত আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন ওই ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য নানা প্রকার চক্রান্ত শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে সেন্টুর কাছ থেকে কিছু টাকাও হস্তগত করেছেন। চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা ঘুষের মৌখিক চুক্তি হয়েছে। শুধুমাত্র ঘুষ দিতে না পারায় মামুনের চাকরি হচ্ছে না। অভিযোগে আরও জানা গেছে, সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের বেড়াজালে ধ্বংস হতে বসেছে মামুন ও তার পরিবারে স্বপ্ন। দীর্ঘদিন ধরে ওই চাকরির আশায় বসে থেকে অন্য কোনো চাকরির চেষ্টা করেননি। তাই সুবিচার পেতে তিনি সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে দোষ এড়িয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, আগের প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান সভাপতি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা আমি জানিনা। কয়েকদিন আগে আমি দায়িত্ব পেয়েছি। নিয়োগের বিষয়ে কোনো বাণিজ্য হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।