গাংনীর তেরাইলে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল বাজারের ১২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামের কামরুল ইসলাম জমি কেনার পর নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করলেও প্রভাবশালী রেজাউল হক তা জবর দখল করেছেন। জমির দখল পেতে ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগে জানা গেছে, তেরাইল বাজারের প্রধান সড়কের পূর্বপাশে খালের ধারে সাড়ে চার শতক জমি (তেরাইল মৌজা, দাগ নং ৫৭৪২) ২০১২ সালে কেনেন ওই গ্রামের ইউপি সদস্য আজগর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম। বিক্রেতা ছিলেন পার্শ্ববর্তী অলিনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার গং। ক্রয়ের পর থেকেই নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন মালিক কামরুল ইসলাম। এর এক পর্যায়ে জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তেরাইল গ্রামের প্রভাবশালী রেজাউল হকের। আজগর আলীর সাথে বিভিন্ন বিরোধ সৃষ্টি করে ওই জমিটি জবর দখল করে ঘাস আবাদ শুরু করেন রেজাউল। গ্রাম্য সালিসসভা কয়েকবার জমি দেয়ার নির্দেশ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেননি রেজাউল হক। তাই প্রতিকার চেয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন জমির মালিক কামরুল ইসলাম।

ইউপি সূত্রে জানা গেছে, নোটিশে বিবাদী রেজাউল হাজির হলে দখলের বৈধতা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো কাগজপত্র কিংবা দখলের বৈধতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে তিনি জমির মালিক নন। গায়ের জোরে দখল করেছেন।

জমির মালিক কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে রেজাউল জমি দখল করেছে। জমিতে গেলে আমার প্রাণনাশসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে রেজাউল হক ও তার ছেলে। তাই জমি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি ও পরিবারের সদস্যরা। কেননা এর আগে ওই পক্ষের লোকজন তার পিতা আজগর আলীর ওপর হামলা চালিয়েছিলো। বর্তমানে তিনি পঙ্গু।

বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কয়েকবার সালিস করলেও জমির মালিকানার কোনো কাগজপত্র কিংবা দখলের বৈধতা দেখাতে পারেননি রেজাউল হক। জমি দখলে রাখার জন্য তিনি অপকৌশলে কোন্দল সৃষ্টি করে চলেছেন।