গাংনীর ছাতিয়ানে সৎমা কৃর্তৃক শিশুকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে সৎমা কর্তৃক শিশুপুত্রকে ভাতের সাথে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগে উঠেছে। গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগে মিথ্যা বলে দাবি সৎমা শিখা খাতুনের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতিয়ান গ্রামের হাফিজুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগেই শিশুপুত্র ইমনকে রেখে স্বামী ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। হাফিজুল ইসলাম বছর তিনেক আগে দৌলতপুরেরস শিখা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পারিবারিক কিছু কলহের মধ্য দিয়েই চলছিলো হাফিজুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য জীবন। গতকাল সকালে শিখা খাতুন ইমনকে ভাত খেতে দেন। কয়েকবার ভাত গালে দিয়ে ইমন বমি শুরু করে। তাকে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান দাদা কিতাব আলী। ইমনকে হত্যা করতে শিখা খাতুন ভাতের সাথে বিষ জাতীয় কিছু প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিখার স্বামী ও শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজনের মুখে এমন অভিযোগ শুনে ভিড় করেন পাড়ার লোকজন। অনেকেই শিখার প্রতি নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে বিষ প্রয়োগ করা হয়নি বলে দাবি করেন অভিযুক্ত সৎমা শিখা খাতুন। তিনি জানান, আমি সৎমা তাই মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। ইমনকে আমি ছেলের মতো করেই লালন-পালন করি। বিষয়টি আরো স্পষ্ট হলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে বলে জানালেন শিখার স্বামী হাফিজুল ইসলাম।