গাংনীর কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবৈধ সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ

 

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্যদের বর্তমান সভাপতি হাজি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সমবায় অফিসার বিমল কৃষ্ণ রায় দীর্ঘ সময় নিয়ে তদন্ত করায় নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে হাজি আমিনুল ইসলামদাতা সদস্য মনোনীত হওয়ার পর গায়ের জোরে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বহিরাগত কিছু ক্যাডার দিয়ে সর্বক্ষণ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পাহারা করেন। স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যদিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা ও নিয়োগ বাণিজ্য করলেও শিক্ষক এবং অভিভাবকরা তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মেহেরপুর জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করে গত ২১ মে পত্র প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসক ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে উপজেলা সমবায় অফিসার বিমল কৃষ্ণ রায় তদন্ত শুরু করেন। তিনি সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও উভয় পক্ষের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অজ্ঞাত কারণে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে গড়িমসি করছেন। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। হাজি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক অবস্থান নিয়েছেন বিধায় ওই অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানালেন আগের পরিচালনা পর্যদের কয়েকজন। ওই কমিটির কয়েকজন আরো অভিযোগ করেন, সমবায় অফিসার বিমল কৃষ্ণ রায় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে কালক্ষেপণ করছেন। সভাপতি ফেঁসে যাবেন বিধায় বিমল কৃষ্ণ রায়ের পরামর্শে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন বিমল কৃষ্ণ রায়।