গাংনীর করমদী থেকে ভারতীয় তরুণীকে আপন ঠিকানায় ফিরিয়ে দিলো বিজিবি

গাংনী প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভনে বাংলাদেশে এসে প্রেমিকের প্রতারণায় স্বর্বস্ব হারাতে বসেছিলেন ভারতীয় তরুণী নাজমা খাতুন (১৪)। ঠিক তেমনই এক সময় বিজিবি সদস্যরা তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। তরুণীকে ফিরিয়ে দিলেন আপন ঠিকানায়। তবে আত্মগোপন করেছে প্রতারক প্রেমিক মেহেরপুর গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামের ঝন্টু মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি গাংনীর সহড়াতলা ক্যাম্প ইনচার্জ হাবিলদার আনোয়ারুল কবিরের উদ্যোগে তরুণীকে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, করমদী গ্রামের বিলপাড়ার শরিয়ত আলীর ছেলে ঝন্টু মিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতীয় তরুণী নাজমা খাতুনকে। সেখানে যাওয়া-আসা এবং মোবাইলফোনে তাদের প্রেম প্রণয়ের দিকে গড়ায়। ঝন্টুর বিয়ের আশ্বাসে ঈদের দিন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে নদীয়ার মুরুটিয়া থানার গান্ধিনা গ্রামের হান্নান কারিগরের মেয়ে নাজমা খাতুন। ঝন্টু তাকে বিয়ে না করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাকে জিম্মি করে বিভিন্ন প্রকার বাণিজ্য করার ফন্দি আটে ঝন্টু মিয়া। এমন খবর পেয়ে তরুণীকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন বিজিবি সহড়াতলা ক্যাম্প ইনচার্জ হাবিলদার আনোয়ারুল কবির। তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা ও কয়েকজন ইউপি সদস্যের সহায়তায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে করমদী গ্রাম থেকে নাজমাকে উদ্ধার করেন আনোয়ারুল কবির। পরে সীমান্তের ১৪২ নম্বর মেন পিলারের ২ নং এস পিলার এলাকার অদূরে করমদী মাঠের মধ্যে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৮৫ বিএসএফ ফুলবাড়িয়া কোম্পানি কমান্ডার বিক্রম শর্মার কাছে তরুণীকে হস্তান্তর করেন বিজিবি সহড়াতলা ক্যাম্প ইনচার্জ। এ সময় ওই তরুণী বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একই সাথে ঝন্টুর বিচার দাবি করে সে। বিজিবিসূত্রে জানা গেছে, ঝন্টু পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।