গাংনীতে মুগ চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে কৃষি কর্মকর্তা – অতিমাত্রায় রাসায়নিক প্রয়োগে জমির অপুরণীয় ক্ষতি হচ্ছে

 

গাংনী প্রতিনিধি: ফসল আবাদে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ বন্ধ করা না গেলে জমির মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে চাষিদের হুঁশিয়ারী করলেন মেহেরপুর গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার রইচ উদ্দীন। মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামে গতকাল সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত মুগ চাষ বিষয়ক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, গত ২০ বছর আগে মাটির যে উর্বরা শক্তি ছিলো আজ তার কয়েকগুন কমেছে। আগামী ২০ বছর পরে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়াতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ফলন ও একই জমিতে এক বছরের কয়েকটি ফসল চাষ করতে গিয়ে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু মাটির প্রাণ জৈব সার প্রয়োগ হচ্ছে না। ফলে জমি তার স্বাভাবিক ফসল উৎপাদন ক্ষমতা হারাচ্ছে। কিন্তু চাষিরা জৈব সার প্রয়োগ না করে  প্রতি বছরই রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি করছেন। যা নিজের পায়ে নিজে ‘কুড়াল’ মারার সমান।

জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জমি থেকে তুলনামূলক কম পুষ্টি আহরণ করে এমন ফসলের একটি হচ্ছে মুগ। পাশাপাশি মুগ ফসল জমিতে কিছু পুষ্টির জোগান দেয়। এতে জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাত্রা কমে যায়। ফলে জমি ফিরে পায় উর্বরা শক্তি। অপরদিকে মাত্র দুই মাস সময়ের মধ্যে বারি মুগ তোলা যায়। বারি মুগ চাষে যেমন স্বল্প খরচ তেমনি অধিক লাভ। কীটনাশক প্রয়োগ না করে নিম পাতার দ্রবন দিয়ে কিভাবে ফসলের কীট-পতঙ্গ তাড়ানো যায় তার কৌশল তুলে ধরেন তিনি।

চাষি পর্যায়ে উন্নমানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ধর্মচাকী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আব্দুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীজ প্রত্যায়ন অফিসার মামুনুর রশিদ, উপ সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুস সামাদ ও সেলিম রেজা। বক্তব্য রাখেন মুগ চাষি মাজেদুল হক মানিক ও আব্দুল গণি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুস সুবহান। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মচাকী গ্রামের বিভিন্ন বয়সী কৃষকবৃন্দ।