গাংনীতে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

 

গাংনী প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনের দাবদহে ওষ্টাগত প্রাণিকূলে স্বস্থি এলেও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার রাতে ঝড়ে বিভিন্ন এলাকার গাছ-গাছালি উপড়ে ভেঙে পড়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কয়েকটি এলাকার বৈদ্যুতিক পোল।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা রাতে উত্তর আকাশে কালো মেঘের দেখা মেলে। তপ্ত আবহাওয়ার পরিবেশের স্বস্থির দেখা মেলে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টি হয়। কয়েকবারের দমকা ঝড়ে ভেঙে পড়ে বিভিন্ন সড়কের পাশের গাছ-গাছালি। গাংনী উত্তরপাড়ায় দীর্ঘদিনের একটি পাকড় গাছ উপড়ে পড়ে। পূর্ব মালসাদহ ও গাংনী শহরসহ আশেপাশের এলাকায় গাছ পালার ডালপালা ভেঙে অনেকটাই লণ্ডভণ্ড মূর্তি ধারণ করে। ঝড়ো বাতাতের তীব্রতায় বিভিন্ন এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যায়। তার ছিড়ে পড়ে।

এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন আমবাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিন আগে থেকে আম সংগ্রহ শুরু হয়। বেশিরভাগ বাগানমালিক এখনো আম সংগ্রহ শুরু করতে পারেননি। এমন অবস্থায় ঝড়ে বাগানের ব্যাপক পরিমাণ আম ঝরে পড়েছে। আযান গ্রামের আম ব্যবসায়ী ও চাষি সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, আযান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছ থেকে শুরু করে আমঝুপি গ্রাম পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ জমিতে আম-লিচু বাগান গড়ে উঠেছে। সারা বছর ব্যবসায়ী ও চাষিরা অর্থ খরচ করে আবাদ সম্পন্ন করলে ফল সংগ্রহের সময় চরম বিপাকে পড়েছেন। দমকা বাতাতের প্রভাবে গাছ থেকে কাঁচা-পাকা সব ধরণের আম ঝড়ে পড়েছে। ওই আম নিয়ে ব্যবসায়ীরা এখানে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। গতকাল সকালে আম কুড়িয়ে নামমাত্র দরে অনেকেই বিক্রি করে দেন। এতে চরম লোকসানের মুখ পড়তে হয়েছে তাদের।

এদিকে সাহারবাটি চারচারা বাজারের সেই চারটি পাকড় গাছের মধ্যে একটি উপড়ে গেছে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ঝড়ের পর গাংনীর বিভিন্ন সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাতের মধ্যে স্থানীয় লোকজন গাছ কেটে সাবার করে দেয়। সকালে কোনো গাছের দেখা মেলেনি। সড়কের দুপাশের গাছ সরকারি সম্পদ হলেও তা কেটে বিক্রি করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। গত রোববার সন্ধ্যা থেকে গাংনী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে গতকাল বিকেলে গাংনী শহরের বিদ্যুত চালু হলেও বেশিরভাগ এলাকায় বন্ধ রয়েছে। পোল ও লাইন মেরামত করতে কয়েকদিন সময় প্রয়োজন বলে পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা গেছে।